আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
অভিযোগ "বানোয়াট" উপজেলা প্রকৌশলী

উখিয়ায় কবরস্থান কেটে বাজারের নালা, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

ইমাম খাইর, কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:২৭:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

উখিয়ার সোনারপাড়া বাজার সংলগ্ন কবরস্থানের জায়গা কেটে নালা করা হচ্ছে। এতে করে কবরস্থানের পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সীমানাও সংকোচিত হয়ে যাচ্ছে। গায়ের জোরে চলমান নালার কাজ বন্ধের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। 

তারা বলছে, ঠিকাদারের নাম ভাঙ্গিয়ে কবরস্থানের জায়গা দখল ও নালা করছে বাজার কমিটি। তাতে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক জড়িত। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ শাহ আলম বলেন, এগুলো উপজেলা থেকে করা হচ্ছে। 

বিস্তারিত জানতে আব্দুল কুদ্দুস নামক ঠিকাদারের মোবাইল নাম্বার দেন তিনি।

এরপর জানতে চাইলে আব্দুল কুদ্দুস বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারসহ বাজার কমিটির লোকজন সরেজমিন পরিদর্শন করে যতটুকু জায়গা চিহ্নিত করেছে ততটুকুতেই ড্রেন করা হচ্ছে। এতে আমাদের কোন স্বার্থ নাই। বাজার ও এলাকাবাসীর স্বার্থে ড্রেনটি করা হচ্ছে বলে দাবি তার। 

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রুকনুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে উত্তর দেন। বরং অভিযোগটি সংবাদকর্মীর পক্ষ থেকে 'বানোয়াট' মন্তব্য করতে চেয়েছেন।

তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মামুন খান বলেন, মানুষের উপকারের জন্য ড্রেন করা হচ্ছে। তবু এলাকাবাসীর অভিযোগটি বিবেচনা হবে।

এদিকে, কবরস্থানের জমি কেটে বাজারের নালা না করার অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এই দাবিতে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে প্রতিবাদ সভা করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে বাহাদুর আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ নেচার, মোঃ শাহ জাহান, মোহাম্মদ হোসাইনসহ এলাকার মান্যগন্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। 

তারা অনতিবিলম্বে কবরস্থানের জমি কেটে নালা নির্মাণের কাজ বন্ধের দাবি জানান।

এদিকে, অভিযোগ উঠেছে, কবরস্থানের জমি রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধনে বাধা প্রদান ও হামলা করেছে এলাকার কিছু চিহ্নিত দুর্বৃত্ত। এই অনৈতিক হস্তক্ষেপে ফুঁসে উঠেছে সোনারপাড়াবাসী। দখলবাজি ও হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যথায় পরবর্তী পরিস্থিতির দায় প্রশাসনকে বহন করতে হবে বলেও হুশিয়ার দিয়েছে ক্ষুব্ধ জনতা।