মিরসরাই ভোট গ্রহণ কার্যক্রমে বাধা প্রদান, ফেইসবুকে দল ও সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদানের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের পদ থেকে মো. কামরুল হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে করেরহাট ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার (২১ নভেম্বর) উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের রশিদিয়া এমদাদুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট চলাকালীন সময়ে ভোট কার্যক্রমে মো. কামরুল হোসেন বাধা প্রদান করেন। যার জন্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা এ.জেড.এম শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মো. কামরুল হোসেন সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তা উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা হিসাবে দলীয় শৃঙ্খলা ও সংগঠন পরিপন্থী। তাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষন্ন করার কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কার্যকরী কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়ে জানতে মো. কামরুল হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে দলীয় দায়িত্ব থেকে অব্যহতির বিষয়ে একটি পোস্টে উল্লেখ করেন, দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমি মেনে নিয়েছি। এ বিষয়ে আমার কোন অনুরাগ বা অভিযোগ কোনটাই নেই। সকলকে ধৈর্য ধারণ করার বিনীত অনুরোধ রইলো। দলের নীতি নির্ধারকবৃন্দের সিদ্ধান্ত অবশ্যই সংগঠন এর ভালোর জন্যই নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত : উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. কামরুল হোসেন চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি ফেইসবুকে লাইভে এসে বিভিন্ন বক্তব্য দেন।