আবার জমবে মেলা, হবে বলীখেলাও। ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার ১৩১৬ সনের ১২ বৈশাখ প্রচলন করেন ‘বলীখেলা’।
তখন থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১১০তম আসর নিয়মিত বসলেও করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে এই অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। বলীখেলার আগের দিন থেকে শুরু করে পাঁচদিনব্যাপী মেলা বসে লালদীঘির মাঠ ও আশপাশের দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। তবে এবছর লালদীঘি মাঠটির সংস্কার কাজ চলমান থাকায় বলীখেলা ও মেলার ১১৩তম আসর স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় চট্টগ্রামের সংস্কৃতিপ্রেমীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে সরব হন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র। তিনি উদ্যোগ নেন বলীখেলা ও মেলা আয়োজনের।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বহদ্দারহাটে নিজ বাসভবনে ‘আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটি’র সদস্যদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন চসিক মেয়র। দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন করে দুপুর ১২টায় বলীখেলা ও মেলা আয়োজনের ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) আবদুল জব্বারের বলীখেলা হবে। তবে এবার লালদিঘী মাঠে নয়, খেলা হবে মাঠের সামনের খোলা রাস্তায়। একইসঙ্গে হবে মেলাও। আগে পাঁচদিন হলেও এবার মেলা হবে ৩ দিন। ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে বৈশাখী মেলা।
মেয়র বলেন, কয়েকদিন আগে একটা ঘোষণা এসেছিল, এবার নাকি আবদুল জব্বারের বলীখেলা হবে না। এটা জানার পর সবার মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। অনেকে মোবাইলে সেই হতাশার কথা আমাকে জানান। তারা প্রশ্ন করেছেন, কেন বলীখেলা ও মেলা হবে না। এরপর আমি বললাম- মেলা অবশ্যই হবে। সেজন্য আয়োজক কমিটির সবাইকে ডেকে কথা বললাম। বৈঠকে মেলা ও খেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১২ বৈশাখ বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বলীখেলা হবে জেলা পরিষদ চত্বরে। আর মেলা হবে ১১, ১২ ও ১৩ বৈশাখ।
মেলা আয়োজক কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির সভাপতি চসিক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল ও সাবেক কাউন্সিলর জামাল হোসেন।