বাংলাদেশ ও আন্তজার্তিক সহস্থাগুলোর কড়া সমালোচনা, অবরোধ সত্ত্বেও সিমান্তে আন্তর্জাতক আইন অমান্য করেই চলছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সীমান্তে মাইন স্থাপন, আকাশ সীমা লঙ্গন, সীমান্তে সেনা টহল, নানভাবে তারা আইন লঙ্গন করে চলছে। সরকার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানেও থামছেনা মিয়ানমার। এটিকে যুদ্ধের উষ্কানী বলে মন্তব্য করেছেন সমর বিশেজ্ঞরা। সবশের্ষ শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে মিয়ামমারের নিক্ষিপ্ত মর্টার সেলের আঘাতে ১ জন নিহত হয় । এতে আরও ছয়জন আহত হয়েছেন ।
এছাড়া এদিন দুপুরের দিকে তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এক বাংলাদেশি নাগরিক আহত হন। এসব ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। সরকার সর্তকতার অংশ হিসেবে সীমান্তবর্তী ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার কেন্দ্র কুতুপালং নিয়ে গেছে।
আন্তজার্তিক আইননুযায়ী সীমান্তের ৫ কিলোমিটারে মধ্যে সামরিক হেলিকপ্টার উড়ানো, অস্ত্র-গুলি বর্ষণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মিয়ারমারের সামরিক হেলিকপ্টার গত ১ মাসে কমপক্ষে ১৭ বার আকাশ সীমালঙ্গন করে সীমান্তে গোলা বর্ষণ করেছে। তাছাড়া তাদের ছোঁড়া গুলি-মর্টার সেল বারবার সীমান্তের এপাড়ে এসে পড়ছে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরতর অভিযোগ হলে সীমান্তে মাইন পুর্তে রাখা। বছরের পর বছর তারা সীমান্তে স্থল মাইন পুর্তে রাখছে। এতে গত আট বছরে শিশুসহ প্রাণ গেছে কমপক্ষে ২৮ জনের। ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে মিয়ামার বারবারই আন্তজার্তিক আইন অমান্য করে চলছে। স্থানীয়রা আতংকে আছে।
সমর বিশাররদ বিগ্রেডিয়ার আবদুল আবয়াল (অব:) বলেন, মিয়ারমারের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে তারা যুদ্ধ বাধাতে চায়। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াসিন পারভিন তিরমিজি বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আমরা কড়া নজর রাখছি।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানান পরিস্থিতির উপর তারা নজর রাখছে। বিজিবি সর্তক অবস্থানে আছে।