আনোয়ারা উপজেলার জুইঁদন্ডি ইউনিয়নের খুরস্কুল এলাকায় জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আবদুল খালেক (৩০) নামের এক যুবককে খুনের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত একটায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত খালেক স্থানীয় মৃত হাসান মুরাদের পুত্র। সে পেশায় সিএনজি চালক বলে জানাযায়। এ ঘটনায় আরো ৮ জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্ধেহে ১০ জনকে আটকা করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, জুইঁদন্ডি ইউনিয়নে খুরস্কুল এলাকায় জমিজমা ও চলাচলের রাস্তা নিয়ে স্থানীয় মঞ্জুরা বেগমের পরিবারের সাথে নিহত আবদুল খালেকের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে । বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টায় আবদুল খালেক নিজের চালিত সিএনজি আটোরিকশাটি বাড়ীতে রেখে বের হলে সড়কে মঞ্জুরা বেগমের বৈদ্যুতিক তারে আবদুল খালেক শর্ক খেয়ে পড়ে যায়,পরে মঞ্জুরা বেগম লোকজন নিয়ে তার উপর হামলা করে। এসময় আবদুল খালেকের চিৎকারে তার স্বজনরা এগিয়ে আসলে উভয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে জমির হোসেন(৩৭),শাহাদত হোসেন(২৬)শহিদুর রহমান(৩২),শফিকুর রহমান(৩২), নঈম উদ্দিন(৩৫),আনোয়ারা(৩০),কামাল উদ্দিন(৪০) ও ফেরদৌস আক্তার(২৬) আহত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আবদুল খালেককে উদ্ধার করে আনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় জড়িত সন্ধেহে মো. সাজ্জাদ(২৩),মো. সেলিম(২৭), সামসুল আলম(৫০),মঞ্জুরা বেগম(৫০), আয়শা বেগম(৩০), শারমিন আক্তার(২৪), হ্যাপী আক্তার(১৯), গিয়াস উদ্দিন(২৮), মিজান(২৫) ও মো. আলম(৩০)কে আটক করে।
নিহত খালেকর ভাই মো. ফারুক বলেন, আমার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে বৈদ্যুতি শর্ক দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে খুরস্কুল এলাকায় আবদুল খালেক নামে এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্ধেহে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে।