ফটিকছড়ির নারায়নহাটে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে পাচারে বাধা দেওয়ায় মোঃ খোরশেদ নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।পরে উল্টো তাঁকে মদ বিক্রেতা ও চাঁদাবাজ সাজিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। থানা হাজতে আটক থাকার পর মুচলেখা দিয়ে ছাড়া পায় খোরশেদ। গত ২ মে দুপুরে উপজেলার নারায়নহাট শফিকের দোকানের সামনে যুবলীগ নেতা মামুনের নেতৃত্বে ৮/১০ জন চিহ্নিত সংঘবদ্ধ দল মারধর করে জখম করে। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম চীফ জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামুনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সিআর (১৫০/২৩) মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগি খোরশেদ। আদালত শুনানী শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে ভুজপুর থানাকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন মো. সুমন , মো. শামীম, মো. রমজান আলী , ও মো. মহিউদ্দিন। খোরশেদ জানান, যুবলীগ নেতা মামুনের নেতৃত্বে রমজান আলী গং নারায়নহাটের সুন্দর শাহ মাজার সংলগ্ন হালদা নদী থেকে ইজারবিহীন বালি উত্তোলন করে আসছিল। স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু জাফর মাহমুদের নির্দেশে ঘটনার দিন অবৈধ বালি বোঝাই গাড়ী আটকের চেষ্টা করে খোরশেদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামুনসহ অপরাপর আসামীরা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে ভুজপুর থানা মামলা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মামুন বলেন, খোরশেদ একজন পেশাদার মদ ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। পার্শ্ববর্তী মানিকছড়ি উপজেলা থেকে চোলাই মদ এনে নিজে সেবন করে এবং এলাকায় বিক্রি করে। এতে করে এলাকার যুব সমাজ প্রতিনিয়ত মাদকাশক্ত হয়ে পড়ছে। খোরশেদের এমন কর্মকান্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়রা তাকে মদ বিক্রি করতে নিষেধ করলে খোরশেদ ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামবাসীকে গালমন্দ করার ফলে গ্রামবাসি তাকে মারধর করে। এ ছাড়া অবৈধ বালি উত্তোলন বা বিক্রির সাথে তিনি জড়িত নন বলেও জানান।