পত্রিকা পড়ে না ঘাবড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কিছু পত্রিকা আছে তারা এক দিন ভালো লিখলে পরের সাত দিন লিখবে খারাপ’।
মঙ্গলবার (১৭ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভার (ভার্চ্যুয়াল) সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় পত্রিকা পড়ে আপনারা অনেকে ঘাবড়ান—এই পত্রিকা এই সমালোচনা করেছে। বাংলাদেশের কিছু পত্রিকা আছে, তারা সব কিছুতে একদিন ভালো লিখলে পরের সাতদিন লিখবে খারাপ। এটা তাদের চরিত্র। আমি চিনি সবাইকে। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বোধহয় দেশের প্রবীণ রাজনীতিবিদদের মধ্যে একজন। হাইস্কুল থেকে তো রাজনীতি করি। সবাইকে আমার চেনাই আছে। সব পরিবারকেও চেনা আছে। কাজেই এটা তাদের চরিত্র। কাজেই ওই পত্রিকা দেখে ঘাবড়ানোর কোনো দরকার নেই। আর পত্রিকা পড়েও সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার নেই। ’
টানা তিনবারের সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নেব দেশের মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে, দেশের কথা চিন্তা করে, দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে। এই কথাটা সব সময় মনে রাখতে হবে। কারণ আমি সেই ভাবেই চলি। আর সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছি বলেই আজকে দেশটা এগিয়ে যাচ্ছে। আমি যদি ভয়ে ভয়ে থাকতাম ও কী লিখলো, ও কী বললো, ও কী করলো, তাহলে কোনো কাজ করতে পারতাম না। নিজের বিশ্বাস হারাতাম। ’
কর্মকর্তাদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাজেই সেখানে আমি বলবো, অনেক সময় আপনাদের অনেকের মুখেই শুনি—এই পত্রিকা লিখেছে। ওটা নিয়ে কখনো ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ওটা নিয়ে চিন্তাও করবেন না। নিজের আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলবেন। সেটাই আমি চাই। তাহলে আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। ’
কারো নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারাই বেশি কথা বলেন, তারাই সমালোচনা বেশি করেন, যারা ইমার্জেন্সি সরকারের পদলেহন করেছেন, চাটুকারি করেছেন, তারাই সমালোচনা বেশি করেন। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। যাই হোক কে কী বললো, সেটা নিয়ে আমি কখনো ঘাবড়াইও না, চিন্তাও করি না। দেশকে ভালোবেসে দেশের মানুষের জন্য যেটা করা ন্যায়সঙ্গত সেটাই করি। ’