আজ শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পরিত্যক্ত ঘরে মরদেহ পুঁতে রাখা হয় এক বছর

১১ মাস পর অপহৃত রোহিঙ্গা যুবকের মরদেহ উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:৩৫:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

 

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা মাঝি ইয়াকুবের ঘরে পুঁতে রাখা সৈয়দ আমীন (৪০) নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ৮ নং আমর্ড পুলিশ (এপিবিএন)। লাশের গলা কাটা ও শরীরের একাধিক স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। 

আমর্ড পুলিশ ও স্থানীয়  সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে সৈয়দ আমীনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ৮০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় সৈয়দ আমিনকে হত্যা করে রোহিঙ্গা দুষ্কৃতিকারীরা। 

এক বছর পর অপহরণের রহস্যের জট খুলতে গিয়ে তিন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে আমর্ড পুলিশ (এপিবিএন)। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা আমিনের লাশের সন্ধান দেয়।

অপহরণের প্রায় ১১ মাস পর রোহিঙ্গা নাগরিক সৈয়দ আমীনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জোরপূর্বক তিনজনকে গ্রেফতার করেছেন এপিবিএন সদস্যরা।

গ্রেফতাররা হলেন- ক্যাম্প ১৪ এর ঘর নং-১৪৯, এফসিএন নং-২৮৭৭৬৪, ব্লক-ই/৩, ক্যাম্প-১৪ এর মো. সালামের ছেলে মো. ইসলাম (২২), একই ক্যাম্পের ঘর নং-৩৫২, এফসিএন নং- , ব্লক-ই/৩, ক্যাম্প-১৪ হাকিমপাড়ার কাশেমের ছেলে আব্দুল মোন্নাফ (২৬), ও ঘর নং-২২৬, এফসিএন নং-২২০৮০৮, ব্লক-ই/৩, ক্যাম্প-১৪ হাকিমপাড়া, উখিয়ার মো. সালামের ছেলে মো. ইলিয়াস (২৮)।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত উখিয়ার এফডিএমএন ক্যাম্প-১৪ এর প্রাক্তন মাঝি ইয়াকুবের পরিত্যক্ত ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার করে ক্যাম্পে কর্মরত ৮ এপিবিএন সদস্যরা। এরপরই হাকিমপাড়া ই/৩ ব্লকে মাঝি ও ভলান্টিয়ারদের সমন্বয়ে ব্লক রেইড পরিচালনা করে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসাইন শনিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতাররা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গত ১৭ জানুয়ারি চাকমারকুল ক্যাম্প-২১ এর সি/৪ ব্লক (সাবেক এম ব্লক) এর সাবমাঝি সৈয়দ আমীনকে (৪০) (পিতা- মৃত মোছা আলী, এফসিএন নং-২৪১৯৬৬) অপহরণ করে ক্যাম্প-১৪ তে নিয়ে আসে। অপহরণের পর ভিকটিমের পরিবারের কাছ হতে মুক্তিপণ হিসেবে ৮০ হাজার টাকা দাবি করে। দুর্র্ধষ দুষ্কৃতিকারী শুক্কুরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন দুষ্কৃতিকারী মিলে সৈয়দ আমীনকে হত্যা করে ক্যাম্প-১৪ এর প্রাক্তন মাঝি ইয়াকুবের পরিত্যক্ত ঘরের মেঝেতে মরদেহ পুঁতে রাখে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, গত ১৭ জানুয়ারি বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে চাকমারকুল ক্যাম্প-২১ এর এফডিএমএন দুষ্কৃতিকারী সাহাব উদ্দিন (ঘর নং-৮২), আনোয়ার (আরসা‘র হেড জিম্মাদার), আনোয়ার ফারুক ও সাদেক ভিকটিম সৈয়দ আমীনকে মুখ বেঁধে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

৮ এপিবিএন-এর অধিনায়ক মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান জানান, ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ক্যাম্প-১৬ এর ইন্সপেক্টর আতাউর রহমান ভূঁইয়াসহ অন্যান্য অফিসার ফোর্স নিয়ে এফডিএমএন ক্যাম্প-১৪ হাকিমপাড়া ই/৩ ব্লকে মাঝি ও ভলান্টিয়ারদের সমন্বয়ে ব্লক রেইড পরিচালনা করে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ঘটনাস্থলে মরদেহ শনাক্ত করে।