হাটহাজারী উপজেলার হালদা নদী থেকে ফুটবল তুলে আনতে নেমে নিখোঁজ কিশোর মুহাম্মদ আনাসের (১৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের ৩৮ ঘণ্টা পর শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ২শত মিটার দূরত্বে গজাখালী শাখা খালের মুখে লাশটি ভেসে ওঠে। এসময় স্থানীয় লোকজন দেখতে ফেলে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে আগ্রাবাদ থেকে আসা ডুবুরি দলের টিম কিশোরের মরদেহটি উদ্ধার করে।গত ৩৮ঘন্টা ব্যাপক অভিযান চালালেও লাশের সন্ধান না পেয়ে হতাশায় ছিল প্রবাসী পিতা আবু তাহের।আরব আমিরাত থেকে ঘটনার দিন রাতেই দেশে এসে লাশ না পাওয়া পর্যন্ত হালদা নদীর তীরে বসে ছিল পুত্র সন্তানের নিথর দেহ দেখতে অশ্রুসিক্ত নয়নে।গত বৃহস্পতিবার ঘটনার দিন থেকে নদীর দুইপাড়ে ছিল উৎসুক জনতার ভীড়। নিহত কিশোর গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড হাজি দুলু মিয়া সওদাগর বাড়ীর প্রবাসী আবু তাহেরের একমাত্র পুত্র।সে পৌরসভার ১১মাইল শাহ অলিউল্লাহ (রহ.) মাদরাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র। হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স এর কমকর্তা মো. শাহজাহান জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত সত্তারঘাট হয়ে মদুনাঘাট এলাকা সহ উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধারের সম্ভব হয়নি।জোয়ারের পানি ও ভাটার স্রোতে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল।তবে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিখোঁজের স্থান থেকে প্রায় ২শত মিটার দুরত্বে ভেসে উঠেছে কিশোরের লাশ।তখন আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। উদ্ধার অভিযানে আইভিএফ সদস্য জুনিয়র মৎস কর্মকর্তা রাব্বানী স্পিডবোট দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেন। এর পরেই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছি। লাশ পঁচন ধরার কারনে সকাল ১১টার দিকে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। প্রসঙ্গত: গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদরাসা ছুটির পর তিন বন্ধু মিলে হালদার নদীর স্লুইসগেট এলাকায় ফুটবল খেলতে আসে।খেলার মুহুর্তে আনাসের ফুটবলটি হঠাৎ নদীতে পড়ে যায়। ফুটবল তুলে আনতে নদীতে নামলে স্রোতে মাঝে ডুবে যায় আনাছ। দীর্ঘ ৩৮ঘন্টা পর নিথর দেহ নদীতে ভেসে উঠে।যেন এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতরণ ঘটে হালদা নদীর পাড়ে।