হাটহাজারীতে নতুন লুঙ্গি পড়াকে কেন্দ্র করে বদিউল আলম সোহাগ (৩৮) নামে স্বামীর হাতে রিনা আক্তার (৩৩) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছে। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খন্দকিয়া এলাকার খন্দকার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিনা আক্তার ওই এলাকার জহুর আলম সওদাগরের পুত্রবধূ। তাদের সংসারে দুইটি কন্যাসন্তান রয়েছে। সোহাগ পেশায় একজন অটোরিকশা চালক হলেও বছরে কয়েকবার মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরেন বলে জানা গেছে। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, সকালে ঘুম থেকে উঠে সোহাগ নতুন লুঙ্গি পড়ে বের হতে চাইলে তার স্ত্রী রিনা আক্তারকে তাকে বাধা প্রদান করে। এর জের ধরে রিনাকে গলা টিপে হত্যা করে তার স্বামী সোহাগ। ঘটনার পর বাড়ীর বিভিন্ন ঘরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে সোহাগ। একপর্যায়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে দেখে স্ত্রীকে হত্যা করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে সোহাগ। বংশের পরম্পরায় ছোটকাল থেকেই সোহাগ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো বলেও জানা যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য তোফায়েল আহমদ বলেন, সোহাগ ছোটবেলা থেকে বছরের অধিকাংশ সময় পাগল থাকে। এপর্যন্ত সে তিনটি বিয়ে করে, প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়। তৃতীয় স্ত্রীর সাথে সংসার চলাকালে প্রায়সময় বউকে বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো। আজকেও তার স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করে। থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় এবং সেইসাথে সোহাগকেও আটক করে নিয়ে যায়। তাদের মেয়ে দুইটিকে আমরা সামাজিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে যাতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করবো। এবিষয় মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ওই গৃহবধূকে মারধর ও গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে, সেই সাথে তাদের এক মেয়েকেও গলাটিপে ধরেছিল। সে একটু উগ্রপন্তী।খবর পেয়ে থানার এসআই শরীফ তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা রুজু করেন। পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।