হাটহাজারীতে তুচ্ছ ঘটনায় পৃথক দুটি ঘটনায় প্রতিপক্ষের আঘাতে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে।ঘটনার চারদিন পার হলেও এ পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি।এমনকি ঘটনার বিষয়টি নিয়ে থানায় কেউ যোগাযোগও করেনি বলে জানান ওসি।বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় গুরুতর আহত তিনজনেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পৌরসভার আদর্শগ্রামের পশ্চিমে সোনার পাহাড় ও মৌলভী পাড়ায় পৃথক এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সন্দীপ পাড়ার মো.আবু তাহেরের পুত্র মোরশেদ (৩২) ও আদর্শগ্রামে নজরুলের পুত্র আরিফ(২৫) ও বেলাল আহমদের পুত্র তারেক(৩৮)। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী বরাত জানা যায়,গত শনিবার (২২অক্টোবর)রাত ৯টার দিকে মোরশেদ বাড়ী যাওয়ার পথে মৌলবী পাড়া এলাকায় দেশীয় রামদা কিরিস দিয়ে মোরশেদকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। তার বড় ভাই মুছা প্রতিবেদককে জানান,গত দুই মাস আগে তাদের দোকানে ওয়াসিম নামের এক ব্যাক্তি মদপান করে গালাগাল করছিল। মোরশেদ তাকে গালাগাল না করতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে ওয়াসিম মোরশেদের গায়ে হাত তুলে।পাল্টা মোরশেদও চড় তাপ্পর দেয়।সে ক্ষোভ থেকে গত শনিবার রাতে স্থানীয় সন্ত্রাসের গটফাদার মনতাজ তার সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতা ছেলে সাদ্দাম, ইমন, নাইম সহ তাদের বাহিনী দিয়ে আমার ভাইয়ে হত্যা করতে রামদা কিরিস দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।তাদের ভয়ে কেউ কাছে এসে আমার ভাইকে রক্ষা করতে পারেনি।মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।বর্তমানে থানায় মামলা কেন করেনি জানতে চাইলে সন্ত্রাসী সাদ্দামের ভয়ে ও থানায় যেতে পারিনি।কিছু পুলিশের সাথে তার সখ্যতা থাকার কারনে মুলত সন্দীপ পাড়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব চালায় সাদ্দাম বাহিনী।গত ৫দিন আগে মাদক বিরোধী সামাজিক বৈঠকের নাটক করে এ হামলা চালিয়েছে তারা।তাদের সন্দীপ পাড়া মাদক বিক্রিতে বাধা সৃষ্টি হওয়ার কারনে বেপরোয়া হয়ে গেছে বলেও জানান মুছা সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই। সাদ্দাম গংয়ের কুঠির জোর কোথায় জনগনের প্রশ্ন? অপরদিকে সন্দীপ পাড়ার কাসেমের সাথে আদর্শগ্রামের তারেকের সোনার পাহাড় মোড়ে বাকবিতন্ডতা সৃষ্টি হয়।এক পর্যায়ে কাসেম ফোন করে ৪/৫জন লোক নিয়ে দেশীয় দা কিসির দিয়ে তারেককে এলোপাতাড়ি মাথায় কোপাতে থাকে।পরে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি দেখতে পেলে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে অবস্থার অবনতি দেখলে চমেক হাসপাতালে প্রেরন করে।এ ঘটনায় আরিফ নামের এক যুবকও আহত হয়।তবে দুটি ঘটনায় এখনো থানায় কোন মামলা বা অভিযোগ না হওয়ায় জনমতে নানা প্রশ্নের ধুম্রুজাল সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ সাদ্দামের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা পারিবারিক ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি।নিউজ করার দরকার নাই। হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন সবুজের কছে জানতে চাইলে এ ধরনের কোন ঘটনা সম্পর্কে জানা নেই।কেউ অভিযোগ বা যোগাযোগ করেনি।অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।