কাতার বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে দেশের প্রায় হাট-বাজার, বাসাবাড়িতে দেখা যায় ভিন দেশের পতাকা। স্বাধীন দেশের মাটিতে অনেকটা প্রতিযোগিতা হারে অন্য দেশের পতাকা উড়ানো হচ্ছে। ফেভারিট দলের জয় পরাজয়ে ঘটে যাচ্ছে নানা অঘটন। হচ্ছে মারামারি। পতাকা তুলতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। গভীর রাতে চিল্লাপাল্লায় পরের কষ্ট বুঝেনা ফুটবল উন্মাদেরা। অসুস্থ মানুষের কদর নাই তাদের কাছে। কাণ্ডজ্ঞানহীন এমন কর্মে বিরক্ত অধিকাংশ মানুষ। এদিকে, স্বাধীন ভূমে ভিনদেশের পতাকা নিয়ে উল্লাস ও গভীররাতে আতশবাজি ফোটানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উখিয়া উপজেলার শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে কোর্টবাজার আরব সিটি সেন্টারের সামনে বাংলাদেশের পতাকা হাতে অভিনব পন্থায় প্রতিবাদ জানায় ছাত্রসমাজ। এতে সচেতন ছাত্রসমাজ বক্তব্য দেন। কক্সবাজার সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, "আমরা কখনো নিজ দেশের পতাকা নিয়ে মিছিল করিনি। সেখানে চলমান বিশ্বকাপে ভিনদেশ তথা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকা হাতে মিছিল করে গভীররাতে আতশবাজি ফোটানো হয়। এতে মা-বোনসহ অনেকের ঘুম ভাঙ্গে। কষ্ট হয়। আতশবাজির আওয়াজ, মাত্রাতিরিক্ত আনন্দ উল্লাসের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পাড়া-মহল্লায়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসি মুখ ফাউন্ডেশনের ইমরুল কায়েস অভি ও মোহাম্মদ সামী বলেন, "আমাদের নিজ দেশের ইতিহাস জানতে হবে এবং আগামী প্রজন্মকে জানাতে হবে। বাংলাদেশের বিজয় এসেছিলো ১৯৭১সালের ১৬ ডিসেম্বর। এ মাস পুরোটাই বিজয়ের মাস। তাই আমাদের দেশপ্রেমবোধ থাকতে হবে।" মানববন্ধনে কক্সবাজার সরকারি কলেজের ছাত্র ইমরান আল মাহমুদ বলেন, "আমরা চাইলে নিজ দেশের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে পারি। গভীররাতে ভিনদেশিদের খেলায় অতিরিক্ত আবেগী হয়ে আতশবাজির শব্দে কেঁপে উঠে চারপাশ। কিন্তু নিজ দেশের বিজয়ের মাসকে সামনে রেখে এসবের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।" তিনি বলেন, "আগামী ১৬ ডিসেম্বর ছাত্র সমাজের বিজয় মিছিল। এতে সবাইকে মিলিত হওয়ার আহ্বান করছি।" সভায় মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি কামাল উদ্দিন সোহাগ, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন ছাত্রদল (দক্ষিণ) সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ছাত্রদের মধ্যে জাহেদ হাসান,রিফাত আলম,আল মাহমুদ সজীব,জিয়াউল করিম,মুনতাসির নাহিন,আল আমিন,আক্তার কামাল,আবছার, রবিউলসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।