আজ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

সীতাকুণ্ডে লোডশেডিং হচ্ছে দুই থেকে তিন ঘন্টা

ইলিয়াছ ভূঁইয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২২ জুলাই ২০২২ ০৭:০৫:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

জ্বালানি সাশ্রয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং। দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো সীতাকুণ্ডেও বেশ কিছু এলাকায় লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে শুরু হয় এই প্রক্রিয়া। তীব্র গরম থেকে বাঁচতে অনেকে এ সময় ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। তাদের কেউ কেউ গরমে কষ্টের কথাও জানান।

 

সীতাকুণ্ড পৌরসভার বাসিন্দা ও সীতাকুণ্ড পৌর ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামরুল হাসান জানান, দেশের স্বার্থে যে কোন সীদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই, তবে সিডিউল ভিত্তিক লোডশেডিং এর কথা থাকলেও বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ তা মানছে না। প্রায় ভারী রাতে লোডশেডিং এর কবলে পড়তে হচ্ছে আমাদের। সেদিন রাত তিনটায় লোডশেডিং শুরু হয়ে চারটা পঁচিশ মিনিটে বিদ্যুৎ আসে, এর পর আবার পনের মিনিটের লোডশেডিং হয়। রাতের বেলায় অসুন্থ বাবা ও আমার শিশু বাচ্ছা নিয়ে আমাকে খুবই কষ্টে পড়তে হয়েছে। সারাদিন হিসেব করলে দুই থেকে চার ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে।

 

একই কথা বলেন, সৈয়দপুরের ইমরান হোসেন, তিনি বলেন, আমার ছোট বাচ্ছা ও অসুন্থ মাকে নিয়ে অনেক কষ্টে পড়তে হয়েছে সেদিন রাতে। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত লোডশেডিং দিলে আমাদের কোন সমস্যা হতোনা, কারণ ওসময় কেউ যেমন ঘুমায় না তেমনি ভাবে অফিস সময় শুরু হয় সকাল দশটা থেকে।

 

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অসাদুজ্জামান জানান, সাধারণত আমাদের লোডশেডিং এর সিডিউল দুপুর থেকে রাত নয়টা-দশটা পর্যন্ত। আর ভারী রাতে যদি লোডশেডিং হয় সেটি কিন্তু লাইন ফল্ডের কারনে। স্বাভাবিক ভাবে আমরা সরকার ঘোষিত লোডশেডিং এক ঘন্টার বেশি দিইনা। যদি এক ঘন্টার বেশি হয় সেটি লাইনে সমস্যার কারনে হয়ে থাকে।

 

প্রসঙ্গত, জ্বালানি সংকটে বিদ্যুতের উৎপাদন কমিয়ে আনতে লোডশেডিংয়ে বাধ্য হয়েছে সরকার। মানুষের যাতে সমস্যা কম হয় সেজন্য সময়সূচি করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হচ্ছে। কখন কোথায় বিদ্যুৎ থাকবে না, তা ওয়েবসাইটে প্রকাশের মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছে বিতরণী সংস্থাগুলো।