সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে মারা যাওয়া ১৯ লাশের পরিচয় এখনও শনাক্ত হয়নি। এদিকে লাশ শনাক্তে নিখোঁজদের ৪২ জন স্বজন ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন। এসব স্বজন ২৩ জনের পরিচয় শনাক্তের জন্য নমুনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নমুনা সংগ্রহকারী সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবের কর্মকর্তারা।
নমুনা সংগ্রহে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম সিআইডির এডিশনাল এসপি জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ দাবি করা স্বজনদের সোমবার থেকে নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে ৪২ স্বজন ২৩ জনকে নিখোঁজ দাবি করে নমুনা দিয়েছেন। ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত তথ্য নিশ্চিত হওয়া যাবে। ডিএনএ রিপোর্ট পেতে স্বজনদের এক মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, কোনও স্বজন ডিএনএ নমুনা দেওয়া থেকে বাদ পড়লে তারা সরাসরি চট্টগ্রাম অফিসে এসে যোগাযোগ করতে পারবেন। অথবা ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে গিয়েও নমুনা দেওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশে পরিদর্শক কেশব কুমার চক্রবর্তী বলেন, সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের কত জন নিখোঁজ আছেন, এর কোনও তালিকা হয়নি। তবে ৪৬টি মৃতদেহ ছিল। এরমধ্যে ২৭টির পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় সেগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এখনও ১৯টি লাশ শনাক্ত করা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, ২৩ জন নিখোঁজ আছে দাবি করে ৪২ জন স্বজন ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন। এরমধ্যে দু’জনের লাশ নিয়ে গিয়েছেন। তাদের স্বজনরাও ডিএনএ দিয়েছেন। ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পর নিখোঁজদের পরিচয় শনাক্ত হবে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, যে ১৯টি লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়নি সেগুলো ফ্রিজে রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এভার কেয়ার হাসপাতাল এবং সিএমএইচ হাসপাতালের ফ্রিজে এসব লাশ রাখা হয়েছে।