দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চট্টগ্রাম-২(ফটিকছড়ি) আসন থেকে সরে দাঁড়ালেন চৌদ্দ দলীয় জোট নেতা ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের(বিটিএফ) চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি। তিনি এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।
৪ জানুয়ারি(বৃহস্পতিবার) সকালে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক বিশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৮ জানুয়ারী হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত আমাদের দলীয় প্রতীক "ফুলের মালা" মার্কার সমর্থনে ব্যাপক গনসংযোগ ও পথসভা হয়েছে। ফটিকছড়ির ১৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার জনসাধারণের অকুণ্ঠ ভালবাসা ও সমর্থনে আমি আবেগাপ্লুত হয়েছি। ফটিকছড়ি উপজেলা হতে আমি ৪ বার জাতীয় সংসদের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।
তিনি ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ফটিকছড়ির মাটি ও মানুষের অফুরন্ত ভালবাসায় আমি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ত্বের প্রতীক "নৌকা" নিয়ে বারবার নির্বাচিত হয়েছি। ফটিকছড়ি আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকে অতিতে আমাকে বিজয়ী করে কৃতার্থ করেছেন।
তিনি বলেন, ফটিকছড়িতে আমি চারবারের মধ্যে তিনবারই নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছি, এবং এই নৌকার মাধ্যমে আমি বারবার সম্মানিত হয়েছি। যেহেতু ১৪ দলীয় জোট নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই ফটিকছড়িতে নৌকা প্রতীকের সমর্থন পুনর্ব্যাক্ত করেছেন সেহেতু তাঁর প্রতি সম্মান জানানো নৈতিক দায়িত্ব। আমি নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করা সমীচিন মনে করছি না।
লিখি বক্তব্য তিনি আরোও বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় ও রাজনৈতিক অঙ্গনের ৪০ বছরের ধারাবাহিকতার আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও বর্তমান সরকার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাবে অনেক উপকৃত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যেই আমরা পুরষ্কৃত হয়েছি। ফলশ্রুতিতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১৪ দলীয় জোট নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মান জানিয়ে ও সার্বিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে আগামী ০৭ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক কাজী মোরশেদ, তরিকত ফেডারেশনের ফটিকছড়ি উপজেলার আহবায়ক আলমগীর আলম ও সদস্য সচিব মো. শাহজালাল, পাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সরওয়ার হোসেন স্বপন প্রমুখ।