নগরের ব্যস্ততম সাগরিকা গরুর বাজারে প্রবেশ করতেই দেখা মিলবে কালোর মধ্যে সাদা রঙের ডোরাকাটা বিশাল দেহের ‘রেম্বো’। এ গরুটি দেখতে অনেকেই ছুটে আসছেন বাজারে। দাম জিজ্ঞেস করে উধাও হয়ে যাচ্ছেন। কারণ গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরের কড়া রোদ উপেক্ষা করেই রেম্বোকে দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমেছিল। সাগরিকা গরুর বাজারের ইজারাদাররা জানালেন, এখন পর্যন্ত এটিই সাগরিকা গরুর বাজারের সবচেয়ে বড় গরু।
জানা গেছে, দেশি সংকর জাতের গরুটির বয়স ৪ বছর। লালন-পালনের পর গরুটির ওজন এখন ৩৪ মণ। পূর্ব অভিজ্ঞতা আর ভালোবাসার পরশ পেয়ে চার বছরেই গরুটির দৈহিক গঠনে আমূল পরিবর্তন আসে। হাটে আনার আগে ওজন মেশিনে পরিমাপ করে দেখা গেছে, এর ওজন প্রায় ১৩০০ কেজি।
দানাদার খাবার সকালে ৭ কেজি ও বিকেলে ৭ কেজিসহ মোট ১৪ কেজি খাবার খাওয়াতে হয় রেম্বোকে। দেখতে গম্ভীর হলেও স্বভাব বেশ শান্ত। অন্য গরুকে কখনো মারেনি। কাউকে আঘাতও করেনি। দুষ্টুমির ভাব একদমই নেই। প্রতিদিন রেম্বোকে ছোলা, গমের ভুসি, খেসারি, জব, ধানের কুড়া খাওয়ানো হয়। এছাড়াও পাতা, ডাল ডাঙা, ভুট্টা ভাঙা, গ্লুকোজ ডি খাওয়ানো হয়।
পুরাতন চান্দগাঁও থানা এলাকার চৌধুরী পাড়ার সিয়াম অ্যাগ্রো ফার্মে লালন-পালনের পর কোরবানি উপলক্ষে গত সোমবার সকালে সাগরিকা গরুর বাজারে তোলা হয় রেম্বোকে। গরু নিয়ে আসা মো. আবু সিদ্দিক বলেন, বাছুর বয়স থেকে এ গরু লালন পালন করে বড় করেছি। মানুষ দেখতে আসে। ৮ লাখ-৯ লাখ টাকা দাম দিতে চায়।
রেম্বোর দাম ১৫ লাখ টাকা কেন জানতে চাইলে আবু সিদ্দিক বলেন, ‘চার বছর বয়স রেম্বোর। ফ্রিজিয়ানা জাতের এই গরুর জন্ম আমার খামারেই। লালন পালনে খরচ হয়েছে সাত লাখ টাকার বেশি। এর সঙ্গে অন্যান্য খরচ তো আছেই। এখন দেখি কত দাম ওঠে। হাট তো জমেনি এখনো’।
সাগরিকা গরুর বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. নুরুল আলম বলেন, সাগরিকা হাটে এখন আনুমানিক ৫০ হাজার কোরবানির গরু আছে। বেশিরভাগই ইন্ডিয়ান জাতের গরু। দেশি গরুও আছে। আরও অনেক গরু আসবে। বুধবার বিকেলের আগে হাট জমবে না।