সন্দ্বীপের গত ১৪ মার্চ রাতে বাউরিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে এটিএম শামসুল আলমের বাড়ির আকতার হোসেন মামুনের ঘরে ভয়াবহ ও দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত এফআইআর ভুক্ত ৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবার বেলা ১১ টার সময় সীতাকুণ্ড থানার ভাটিয়ারী থেকে র্যাবের সহযোগিতায় আন্ত জেলা ডাকাত দলেন তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার কৃতরা হলো প্রাথমে আটক করা হয় কালাপানিয়া ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে রুবেল (৩৩) তার দেয়া তথ্য মতো বিকেলে চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গি বাজার হতে আটক করা হয় মগধরা ৬ নং ওয়ার্ডের শফিউল্লাহর ছেলে মিজানুর রহমান (৫৩) ও উড়িরচর ৬ নং ওয়ার্ডের বাহারের ছেলে সিরাজ (৪১) কে। যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয় তাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুছাপুরের ধোয়ার হাট থেকে একটি স্বর্ণের দোকান থেকে ডাকাতি করা ৯ ভরি ২ আনা স্বর্ণালংকার, (যার আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষ টাকা) একটি মোটরসাইকেল, বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ ডাকাতির সরঞ্জামাদি, ডাকাতির পরিকল্পনা কালীন যেসব মোবাইল ফোনে কথা বলেছে ডাকাতেরা সেগুলো ও জব্দ করছে পুলিশ । ডাকাতি কালিন, ডাকাতির আগে ও ডাকাতির পরে ডাকাত দল যাদের সাথে কথা বলেছে তাদেরও একটি তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ ।
গ্রেফতার কৃত আসামী রুবেলের বিরুদ্ধে চন্দনাইশ, হাটহাজারী, হালিশহর, মিরসরাই, সীতাকুণ্ড থানায় মোট ২২ টি মামলা রয়েছে, সিরাজের নামে বিভিন্ন থানায় ৮ টি ও নিজামের নামে ৩ টি মামলা রয়েছে।
এদিকে রবিবার( ২১ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় সন্দ্বীপ থানা কক্ষ গ্রেফতার কৃত ডাকাতদের ডাকাতির সরঞ্জামাদিসহ গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে পুলিশ। বেলা সাড়ে ১১ টায় এ উপলক্ষে সন্দ্বীপ থানার ওসি মোঃ কবির হোসেন প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের জানান রমজানের শুরুতে বাউরিয়া ইউনিয়নে ডাকাতি হওয়ার পর থেকে ডাকাত দল কে ধরতে আমরা অভিযান শুরু করি। গতকাল সীতাকুণ্ড থানা থেকে তাদের তাদের তিনজন সহ পূর্বে ২ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কাছে ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে, এ ঘটনায় সাতজন ডাকাত ছিল, এখন আটককৃতদের জিজ্ঞেসাবাদ করে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্হা গ্রহন করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।