সদ্য ঘোষিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ায় ৯নং মিরসরাই সদর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব কামরুল হোসেনের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার জামালের দোকান এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
কামরুল হোসেনকে আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের ২৮ নং ওয়ার্ডের ভর্তি করানো হয়। হামলায় তার মাথা, পিঠ, হাত ও পায়ে একাধিক যখমের চিহ্ন রয়েছে।
৯নং মিরসরাই সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহŸায়ক নাসির উদ্দিন বলেন, গত ২৩ জুলাই বিকেলে সদ্য ঘোষিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যানকে মিরসরাই উপজেলা, মিরসরাই পৌরসভা, বারইয়ারহাট পৌরসভার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনার বিষয়টি উপজেলা বিএনপি সহ বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা অবগত নয়। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ৯নং মিরসরাই সদর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব কামরুল হোসেনকে দাওয়াত দেওয়া হয়। কিন্তু কামরুল যোগ না দেওয়ায় নুরুল আমিন চেয়ারম্যান গ্রæপের নেতাকর্মীদের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়।
তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নে একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কামরুল হোসেন জামালের দোকান এলাকায় অপেক্ষা করছিলেন। এসময় মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হোসাইনের নেতৃত্বে মিরসরাই সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সচিব বাদশা, মিরসরাই পৌর যুবদলের আহŸায়ক কামরুল, মিরসরাই পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইনজামুল হক ইমন সহ ১০-১৫ জনের একটি গ্রæপ তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা গাছ ও বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে মারাত্মক যখম করে। পরে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মিরসরাই পৌর বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হোসাইন বলেন, বিএনপি নেতা কামরুল হোসেনের উপর হামলার সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাছাড়া আমি পৌরসভায় রাজনীতি করি; ইউনিয়নে কেন যাবো?
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ৯নং মিরসরাই সদর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব কামরুল হোসেনের উপর হামলার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এটি সমর্থন করি না। কামরুল হোসেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহŸায়ক কমিটি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এবিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেবেন।