হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদার্শা মাছুয়াঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেরিতে বিদ্যালয়ে আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৩১ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীলিমা সেনসহ সহকারী শিক্ষিকাদ্বয় আনোয়ারা বেগম, সৈয়দা ইয়াছমিন বিদ্যালয়ে ১০.২৪ মিনিটে প্রবেশ করেন। পরে সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার সকাল ১০.৩৫ এর দিকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। যদিও সরকারি নিয়ম হল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা।এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার লোকজনের অভিযোগ,দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকরা দেরিতে বিদ্যালয়ে আসেন। যার ফলে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে মাত্র ৪৫ জন। দিন দিন এই সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় যা এলাকায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ বারবার বলার পরও বিভিন্ন অজুহাতে তারা নিয়মিত দেরি করে বিদ্যালয়ে আসেন। তাছাড়া কোন অভিভাবক তাদেরকে এই বিষয়ে বলতে গেলে সঠিক জবাব দেন না প্রধান শিক্ষিক। ইতিমধ্যে অভিভাবকরা কমিটি প্রধানকে বলেও কোনো সুরাহা মেলেনি। তাদের আরো অভিযোগ সরকার কর্তৃক সরবরাহকৃত ল্যাপটপটি প্রধান শিক্ষক নিজের বাড়িতে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন। এবিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো.ইমরান বলেন, শিক্ষকদের একাধিকবার বলা হলেও শিক্ষকরা সড়ক যাতায়াতের ব্যবস্থা নাজুক হওয়ার কারন দেখিয়ে দেরি করে আসেন। শিক্ষা অফিসারকেও অবহিত করা হলে তিনি দেখবেন বলে জানান। তবে কেউ আমার কথা গুরুত্ব দিচ্ছে না। অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নীলিমা সেন বলেন, যানবাহনের কারণে মাঝে মধ্যে আমাদের আসতে দেরি হয়। তবে নিয়মিত দেরি হয় বিষয়টি সঠিক নয়। ল্যাপটপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ল্যাপটপটি বেশ কিছু দিন আগে নষ্ট হয়ে যায়। আমি ঠিক করার নিমিত্তে বাসায় নিয়ে যায়। তারা নিজেরা এসব কথা বানিয়ে বলছে। হাটহাজারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদা আলমের মুঠোফোনে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকদের মৌখিক ভাবে সতর্ক করা হয়েছে।