আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

লোহাগাড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, লোহাগাড়া : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:২৬:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

লোহাগাড়ার পুটিবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এসব অনিময়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তার অপসারণ এবং অভিযোগ তদন্তের দাবীতে সোমবার (২ সেপ্টম্বর) দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছে অভিভাবকবৃন্দ।

অভিযোগে উল্লেখ করেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন দায়িত্ব গ্রহনের পর  গত ৪/৫ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক হুমকি দিয়ে টিউশন ফি বাবদ প্রতি মাসে ২০ টাকা আদায়, উন্নয়ন বরাদ্দের বাৎসরিক স্লিপ বাবদ টাকার অনিয়ম, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃকি প্রতিযোগীতার আয়োজন করে পুরস্কার বিতরণ না করাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অপসারণ ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান।

মো. ইসমাঈল নামের এক অভিভাবক বলে, পুটিবিলা পহরচাঁন্দা গ্রামটি একটি দুর্গম পাহাড়ী এলাকা। বিদ্যালয়টি এখানের জন্য খুবই জরুরী। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতায় বিদ্যালয়ে দিনদিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। প্রতিমাসে টিউশন ফি নিচ্ছে ২০ টাকা, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার আয়োজন করে পুরস্কার বিতরণ না করায় ছেলে-মেয়েরা বিদ্যালয়ে যেতে চাইছে না। এমন স্বেচ্ছাচারিতার একটা সীমা থাকা দরকার মনে করে অভিযোগ সমূহ তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানান তিনি।

অভিযুক্ত পুটিবিলা পহরচাঁন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মহি উদ্দিন এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় ভাবে বসে সমাধান করা হয়েছে বলে। আপনারা যা পারেন লিখেন আমার বিরুদ্ধে বলে ফোন কেটে দেন।

লোহাগাড়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মো. আবু জাফর, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি বিধি মোতাবেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন ধরনের টাকা বা ফি নেওয়ার প্রশ্ন উঠে না। এছাড়া যে অভিযোগ গুলো উঠেছে সেগুলো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইনামুল হাসান বলেন, পহরচাঁন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।