রাঙ্গুনিয়ায় মাহফুজা আকতার সোনিয়া (২০) নামে এক গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড নারিশ্চা বটতল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
একই দিন সকাল ১০টার দিকে অভিযোগ পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ নিয়ে আসে পুলিশ। পরে ওই গৃহবধূর বাবা মো. হারুন বাদী হয়ে মাহফুজার স্বামী মো. আক্কাছ আলী, শাশুড়ি রহিমা বেগমসহ শ্বশুর বাড়ির ৪ সদস্যকে আসামী করে রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
মাহফুজার পৈতৃক বাড়ি পদুয়া ইউনিয়নের দ্বারিকোপ মৌলভীরখীল এলাকায়। তার মরদেহ রাত ৮টার দিকে দাফন করা হয়েছে।
মাহফুজার বাবা মো. হারুন বলেন, “আমার মেয়ে মাহফুজার সাথে একই ইউনিয়নের জামাল মিয়ার ছেলে আক্কাছ আলীর সাথে ২০১৯ সালে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন জ্বালাতন করে আসছে। মেয়ে জানিয়েছে তার স্বামী আক্কাছ আলীর সাথে তার বড় ভাবীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি মাহফুজা টের পেয়ে প্রতিবাদ করলে তার ওপর নেমে আসে দিনের পর দিন অমানুষিক নির্যাতন। নির্যাতনের বিষয়টি একাধিকবার মাহফুজা জানিয়েছিল। ঘটনার জেরে আজ সোমবার সকাল ৭টার দিকে আমার মেয়ে মাহফুজাকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন গলাটিপে মেরে ফেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে আনার আগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।”
জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব মিলকী বলেন, “সকাল ১০টার দিকে উপজেলা সদরের ইছাখালি হাসপাতালের সামনে থেকে মাহফুজা আকতারের স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ডে হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে দিয়ে দেয়া হয়েছে।”