রাঙ্গুনিয়ায় আলেম ওলামাদের সাথে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, এদেশের আলেম-ওলামাদের কল্যাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার করেছে তা অন্য কোন সরকার ইতিপূর্বে করতে পারেনি। শতবছরের আলেম ওলামাদের একটি দাবী ছিল একটি ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টার। যা ব্রিটিশ বিভক্তর পর পাকিস্তান, খালেদা জিয়া কিংবা এরশাদ কেউ করে যেরে পারেনি। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার দেশে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা করেছেন। ভিসি করা হয়েছে চট্টগ্রামের একজন সন্তানকে। যেখানে আমারও সুপারিশ ছিল। দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ প্রতিষ্টা করেছেন। এক লক্ষ মসজিদ ভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্টা করা হয়েছে, রাঙ্গুনিয়াতেও এরকম দুইশো মসজিদ ভিত্তিক মক্তব রয়েছে, যারা ৫২০০টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। দারুল আরকাম এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রতিষ্টা করা হয়েছে, যেখানে দু'জন আলেমকে ১২০০০টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ক্বওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতির দাবীও বহু পুরাতন। অনেক সরকার আশ্বাস দিয়েছেন। অনেকে ডেকে ভাত খাইয়েছেন কিন্তু দাবী পূর্ণ করেননি। আমাদের রাঙ্গুনিয়ার কৃতি সন্তান আল্লামা আহমদ সফি সাহেব আলেম ওলামাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পর ক্বওমী সনদ স্বীকৃতি দেন, তারাও সরকারি চাকুরী করছেন এবং বেতনও পাচ্ছেন। এভাবে আলেম ওলামাদের খেদমতে আওয়ামীলীগ সবসময় নিয়োজিত। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার ইসলামের জন্য এবং আলেম ওলামাদের জন্য যে কাজগুলো করেছে, আপনারা আলেমরা অন্যদের কাছে তা দয়া করে বলবেন- আপনাদের কাছে এটুকুই ফরিয়াদ থাকল- বলেন তথ্যমন্ত্রী।
নিজের নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় ইসলামের খেদমতে নানা কাজ করা হয়েছে উল্লেখ করে ড,. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা আমাকে এমপি নির্বাচিত করার পর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ইসলাম এবং আলেম ওলামাদের খেদমত করার জন্য। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন ও আমাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশটার বেশি নতুন মসজিদ ভবন তৈরি করা হয়েছে। এভাবে প্রতিটি মসজিদ মাদরাসা এতিমখানা ও হেফজখানায় সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সহায়তাও পৌঁছানো হয়েছে।