টেকনাফে মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে এক রোহিঙ্গা যুবকের হাতের কব্জি কেটে ফেরত পাঠিয়েছে দূর্বৃত্তরা।
সে টেকনাফ আলীখালী ২৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্লকঃ ডি/২১ এর সামসু আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম(১৭)।
তাকে পাহাড়ি সংলগ্ন ক্যাম্প এলাকা থেকে আশংকাজনক অবস্থায় স্থানীয় রোহিঙ্গারা উদ্ধার করে ক্যাম্পের হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বিষয়টি জানিয়েছেন ক্যাম্প মাঝি নুরুল আমিন।
শনিবার (৩ জুন) রাত ৯ টার দিকে টেকনাফ আলীখালী ডি/২০ ব্লক পাহাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে বাম হাতে কব্জি কাটা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ শরনার্থী আলীখালী ক্যাম্প মাঝি নুরুল আমিন জানান, শুক্রবার রাতে ২৫ নম্বর ক্যাম্প থেকে ১২-১৫ জনের অস্ত্রধারী একটি সন্ত্রাসীরা দল ৫ জন রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তারা হচ্ছে-
এফসিএন নং-২৫৪০১৮, ব্লক ডি-২০ এর বাসিন্দা আব্দুর রহমানের পুত্র আব্দুল্লাহ (১৬), এফসিএন নং-২৫৪০৭৫, একই ব্লকের মোহাম্মদ ছৈয়দের পুত্র আনোয়ার ইসলাম (১৮), এফসিএন নং-৪০০৭২০, একই ব্লকের মোঃ রফিকের পুত্র মোহাম্মদ সোলতান (২৪), এফসিএন নং-২৫৪৪৩১, ব্লক-ডি-২২ এর বাসিন্দা নুর হোছাইনের পুত্র মোহাম্মদ ইউনুছ (৩২) এবং এফসিএন নং-২৬৭৯৬৮, ব্লক-ডি-২১ এর বাসিন্দা শামসু আলমের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (১৬)। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিল।
পরে শনিবার রাত ৯ টার দিকে জাহাঙ্গীরের পরিবার জানতে পারে আলীখালী ক্যাম্পে ডি/২১ ব্লক পাহাড়ি সংলগ্ন এলাকায় অপহৃত জাহাঙ্গীর আলম(১৭)কে বাম হাতের কজ্বি কর্তন করে ফেলে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ক্যাম্প সংলগ্ন (আইআরসি) হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বিধায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন।
তিনি আরো জানান, ৫ জন রোহিঙ্গা যুবক অপহরণ হওয়ার পর অপহরণকারী সন্ত্রাসীরা তাদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে আসছিল। অপহৃত বাকি ৪ জন এখনো অপহরণের কবল থেকে ফেরত আসতে পারেনি।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি তদন্ত নাছির উদ্দীন মজুমদার বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে এক যুবকের হাত কাটার খবর পেয়েছি। এই সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তবে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এ ঘটনার বিষয়ে পুলিশের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।