আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মিয়ানমারে পাচারকালে অকটেন ও খাদ্য সামগ্রীসহ আটক-১৯,আইস,মদ-বিয়ার জব্দ

আমান উল্লাহ কবির, টেকনাফ (কক্সবাজার) : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:২৭:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারে পাচারকালে খাদ্যসামগ্রীসহ ১৯ জনকে আটক ও অপর একটি অভিযানে

১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৮৫ বোতল বিদেশী মদ ও ৩৩৫ ক্যান বিয়ার জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। 

সোমাবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকালে টেকনাফ কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লুৎলাহিল মাজিদ সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ থানাধীন লম্বরি ঘাট থেকে কাঠের বোট যোগে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য ও তৈল শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের খবরের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোন অধিনস্থ বিসিজি স্টেশন টেকনাফ কর্তৃক ওই এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন সময়ে টেকনাফ লম্বরি ঘাট থেকে কয়েকটি কাঠের বোটকে মিয়ানমারের দিকে রওয়ানা করতে দেখা যায়। এসময় কোস্ট গার্ড সদস্যরা উক্ত বোটগুলোকে ধাওয়া করে আটক করে এবং বোটগুলো তল্লাশি চালিয়ে শুল্ক ফাকি দিয়ে মিয়ানমার পাচারের উদ্দেশ্যে বোটে রাখা ১৫ বস্তা শুকনা মরিচ, ৪০ বস্তা পেয়াজ, ১বস্তা তামাক পাতা,৩ বস্তা টেস্টিং সল্ট, ১ হাজার ৮২১ লিটার অকটেন, ৩হাজার ৭৫২ লিটার সয়াবিন তেল, ১৩৬ লিটার ডিজেলসহ ১৯ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়। 

তিনি আরো জানান,পরবর্তীতে জব্দকৃত মালামাল ও আটককৃত ব্যক্তিদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ শুল্ক গুদামে ও পাচারকারী ১৯ জনকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে অপর একটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার থেকে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপ হয়ে এদেশে আসার সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের সেন্টমার্টিন ছেঁড়াদ্বীপ এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালীন ছেঁড়াদ্বীপ কেয়াবনের মধ্যে পাঁচারের উদ্দেশ্যে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় ৩১টি ধূসর রংয়ের পরিত্যাক্ত বস্তা দেখলে তা তল্লাশী করে ১কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), মিয়ানমারের  ২৮৫ বোতল মদ ও ৩৩৫ ক্যান বিয়ার জব্দ করা হয়। এসময় কোন পাচারকারী না থাকায় আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ (আইস), বিদেশী মদ ও বিয়ার পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।