আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তোয়ারার লাই আঁর পেট পুরে : প্রধানমন্ত্রী

কক্সবাজার প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৩১ মার্চ ২০২২ ১০:৩১:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়
 
 
‘তোয়ারার লাই আঁর পেট পুরে’ বলেই উৎসব অনুষ্ঠানের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা। প্রধানমন্ত্রীর মুখে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা শুনে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কক্সবাজারের মানুষ। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে ‘উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন’ অনুষ্ঠান চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।  
এরপর তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কক্সবাজারে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। আগামীতে কক্সবাজারের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে সেতুবন্ধন তৈরি হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোটবেলা থেকে কক্সবাজারে যাওয়ার প্রচুর ইচ্ছা ছিল আমাদের। তাই আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় পেলে আমাদের কক্সবাজারে নিয়ে যেতেন। বঙ্গবন্ধু বেশিরভাগ সময় জেলে থাকতেন। তাই জেল থেকে ছাড়া পেলে আমাদের কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেন। আমরা বাবার কাছে বায়না ধরতাম।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে ‘উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন’ অনুষ্ঠান চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে কক্সবাজার যখন বিধ্বস্ত হয় তখন আমরা কুতুবদিয়া, বদরখালী, মহেশখালীসহ বিভিন্ন বাড়িতে গেছি। তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু সেসময়ে খালেদা জিয়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খবর নেননি। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কক্সবাজারে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এখন উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে।
কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কক্সবাজারে এক্সক্লুসিভ পর্যটন এলাকা, স্টেডিয়াম, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মেডিক্যাল কলেজ, রেললাইন থেকে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়ন চলছে।
 শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি। নির্বাচনি ইশতেহারে দেওয়া অঙ্গীকার আমরা রক্ষা করেছি। শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছি। আজ বাংলাদেশের মানুষ ডিজিটাল দেশের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে। তাই সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছি।
সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ারে বদলে যাওয়া কক্সবাজার’ স্লোগানে এই উৎসব শুরু হয়। রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসব উদযাপনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। 
কক্সবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় বেজে উঠে জাতীয় সংগীত। এরপর ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত হয় আশপাশ।
উৎসবে স্থানীয় উন্নয়নের ওপর বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।
উৎসবের আয়োজন শুরু হয় সকাল ৯টায়। মূল আকর্ষণ ছিল রাত ৮টায়। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আতশবাজির ঝলক ও সুরের ইন্দ্রজালে বুঁদ হয়েছিলেন সমবেত জনতা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান।