চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির একটি সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে মিরসরাইয়ে বিএনপির গাড়ি বহরে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকর্তৃক হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে বিএনপির ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার কয়েকটি স্থানে পৃথক এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য ও করেরহাট ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সিরাজুল হক সিরাজ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহŸায়ক শরীয়তউল্লাহ, হাইতকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা শান্ত বড়–য়া, কাটাছরা ইউনিয়ন যুবদল সদস্য সচিব দিদারুল আলম, ছাত্রদল নেতা একরাম, ধুম ইউনিয়ন যুবদল নেতা সালাহ উদ্দিন রুপম, সাহেরখারী ইউনিয়ন যুবদল নেতা আব্দুস সালাম, করেরহাট ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মিয়া সওদাগর, একই ওয়ার্ড যুবদল নেতা কামাল উদ্দিন, ৪ নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি আব্দুল মতিন, ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা বাবুল চৌধুরী, ৪ নং ওয়ার্ড যুবদল কর্মী সাইফুল ইসলাম।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী ও সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন বলেন, বিএনপির ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী চট্টগ্রাম উত্তর জেলার উদ্যোগে চট্টগ্রাম শহরে সমাবেশে যোগ দিতে মিরসরাইয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা রওয়ানা দেন। করেরহাট ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীদের বহন করা একটি গাড়ি বারইয়ারহাট ইসলাম মার্কেটের সামনে আসলে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা করে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। আহত বেশ কয়েক জন নেতাকর্মী মারাত্মক আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তারা আরও বলেন, আমাদের অনেক ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীরা ভয়ে এসেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি জায়গায় গাড়ি ভাংচুর করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এই বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ^াসী। বিএনপির কোন নেতা-কর্মীর উপর আমাদের কেউ হামলা করেনি। হয়তো বিএনপির নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।
এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এসআই সাজ্জাদ বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় আমাদের কেউ জানায়নি। এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।