মিরসরাইয়ে নুরুন্নবী (৩৮) নামে এক যুবক মারা যাওয়ার ১০ ঘন্টা পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন মা ছকিনা বেগম (৫৫)। পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, ছেলের মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরে বিলাপ করতে করতে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যম ওয়াহেদপুর গ্রামের আব্দুল গণি মুন্সি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। একইদিনে মা-ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা ওই বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের পুত্র এবং স্ত্রী। এদিকে নুরুন্নবী ১৩ বছরের মেয়ে মোছাম্মৎ রোকসানা বাবা এবং দাদীর মৃত্যুর পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে সে বাড়িতে চিকিৎসাধীন এবং নুরুন্নবীর খালা রেহানা আক্তার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্বজন নূরেরছাপা বলেন, নুরুন্নবী বছর দুয়েক আগে কিডনী জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। সর্বশেষ গত ৪-৫ দিন আগে হাদিফকিরহাট বাজারে একটি করাতকলে বাড়ির কিছু গাছ কাটার জন্য গেলে সেখানে তার পায়ের ব্যাথা উঠে। মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় বুকে ব্যাথা উঠলে নুরুন্নবী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ছেলের মরদেহের পাশে বসে কাঁদতে কাঁদতে দুপুর সাড়ে ১২ দিকে মা ছকিনা বেগমও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। তিনি আরও বলেন, নুরুন্নবীরা ৩ ভাই। মেঝ ভাই মো. আনোয়ার চট্টগ্রামে মাছের ব্যবসার করেন এবং তৃতীয় জন নুর উদ্দিন ওমান প্রবাসী। মঙ্গলবার যোহরের নামাজের পর নুরুন্নবীর জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হয়েছে এবং ছকিনা বেগমের ছোট ছেলে ওমান থেকে আসার পর বুধবার নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল কবির ফিরোজ বলেন, ছেলের মৃত্যুর পর মায়ের মৃত্যু’ বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। আমি ওই বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সাথে দেখা করে আসবো। তাদের আমার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সহযোগিতা করা হবে।