মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার চরশরত এলাকায় কনিকা রানী দাশ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেছিলেন। পরে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন কনিকার মামলার আসামি জীবন কৃষ্ণ দাশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ চট্টগ্রামের বিচারক ফেরদৌস আরা আদালতে কনিকা রানী দাশ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। কনিকা রানী দাশ (৪৭) মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার চরশরত এলাকার মগাদিয়ার হীর লাল দাশের স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর পিপি খন্দকার আরিফুল আলম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর কনিকা ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে জীবন কৃষ্ণ দাশের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় কনিকার স্বামীসহ পাঁচজনকে সাক্ষী রাখেন। মামলায় ভুয়া মেডিক্যাল সনদও দেওয়া হয়। পরে আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) পাঠায় চট্টগ্রাম জেলায়। পিবিআই তদন্তে সত্যতা না পেয়ে গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। পরে আদালত ১০ অক্টোবর কনিকা রানির মামলাটি খারিজ করে দেন। গত ৭ আগস্ট কনিকা দাশ, তাঁর স্বামীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে মানহানির অভিযোগে একটি মামলা করেন।
পিপি খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, আদালতে মিথ্যা মামলা করে কনিকা রানী দাশ। পরে কনিকা রানী দাশের বিরুদ্ধে মামলা করেন মামলার আসামি
জীবন কৃষ্ণ দাশ। এ মামলায় আজকে কনিকা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।