মহেশখালীতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নাগরিক সংলাপের আয়োজন করেছে স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথ ফর ইকোলজি কনজারভেশন এবং মহেশখালী জন সুরক্ষা মঞ্চ।
১১ই সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টায় মহেশখালী উপজেলা পরিষদ হলরুমে মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তাছবীর হোসেনের সভাপতিত্বে সংগঠনের সভাপতি এসএম রুবেলের পরিচালনায় নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। নাগরিক সংলাপে উপস্থিত ছিলেন- মহেশখালী উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা এস. এম. এনামুল হক, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার তানভীর হোসেন, মহেশখালী থানার উপ-পরিদর্শক ফরাজুল ইসলাম।
সংলাপে নাগরিকদের পক্ষে বক্তব্য দেন, মহেশখালী জন সুরক্ষা মঞ্চের সভাপতি নুর মোহাম্মদ ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মহসিন,সিসিডিএফের প্রধান নির্বাহী সুব্রত দত্ত, সিএইচআরডিএফের সহকারী প্রধান সমন্বয়ক রুহুল আমিন, মহেশখালী কলেজের শিক্ষক মোঃ সানা উল্লাহ, শিক্ষার্থী ও পরিবেশ কর্মী নুরুল আবছার, মোশারফ হোসেন মিশুক ও সাদেক হোসেন, মাতারবাড়ির ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য আফসানা খানম ও মোস্তফা বেগম।
মহেশখালী থানার উপ-পরিদর্শক ফরাজুল ইসলাম বলেন, “কুতুবজোম ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি প্যারাবন কাটা হয়েছে। সেখানে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের সাথে বেশ কয়েকটি অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের সময় এসব দৃশ্য দেখে সত্যিই খারাপ লেগেছে। সবাইকে পরিবেশ রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।”
মহেশখালী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা এস. এম. এনামুল হক জানিয়েছেন, মহেশখালী দ্বীপে প্যারাবন, পাহাড় ও বন কাটার বিষয়টি সত্য। বিশেষ করে প্রজেক্ট তৈরীর নামে প্যারাবন উজাড়, পান বরজ নির্মান ও জমি দখলের নামে পাহাড় কাটা এবং বন কাটা চলছে। এসব বন্ধে পর্যাপ্ত জনবল সহায়তা না থাকা, স্থানীয়দের সহযোগিতার অভাব ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের চাপে কার্যকর অভিযান চালানো যায়নি। এখন ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে একটি সুন্দর মহেশখালী গঠনে পরিবেশ খেকোদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
অনুষ্ঠানের শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তাছবীর হোছাইন জানান, মহেশখালী দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন প্রায় সময় অভিযান পরিচালনা করেন এবং কোথাও পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ হচ্ছে এমন তথ্য পেলে দ্রুত অভিযানে নামেন তারা। তবে সঠিক তথ্যের অভাব ও যাতায়াতের সীমাবদ্ধতার কারণে জড়িতদের ধরতে বেগ পেতে হয়। তারপরেও প্রশাসন চেষ্টা করছে। এখন নাগরিকদের সমন্বয়ে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে পরিবেশ খেকোদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে কাজ করা হবে এবং পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ চিরতরে বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ভূক্তভোগী, পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।