হত্যা মামলায় স্বাক্ষ্য দেয়ায় ফটিকছড়ির ভুজপুরে ইউপি সদস্যের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৬ মার্চ উপজেলার ভুজপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়ীর সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান ভুক্তভোগী লোকমান । এ ঘটনায় হামলাকারী দিদারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন হামলার শিকার ইউপি সদস্য মো.লোকমান। এদিকে লোকমান মেম্বারের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় এলাকাবাসি। তাঁরা ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার পুর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান। হামলার শিকার ইউপি সদস্য লোকমান জানান, ২০০৮ সালে ঈসমাঈল গং তাদের আপন ফুফাত ভাই আবদুর রহিমকে পশ্চিম ভুজপুর এলাকায় জবাই করে হত্যা করে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ইউপি সদস্য লোকমান স্বাক্ষী হিসেবে আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। দিদার ঈসমাঈল গংরা উক্ত মামলায় আদালতে স্বাক্ষ্য না দিতে লোকমান মেম্বারকে নানাভাবে নিষেধ করে। এমনটি টাকার প্রলোভনও দেয়া হয়। কিন্তু লোকমান মেম্বার তাদের নিষেধ অমান্য করে আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে করে মামলার আসামীরা তাঁর উপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়। এর জের ধরে ইসমাইল গং লোকমান মেম্বারকে ঘায়েল করার জন্য কৌশলে তাঁর পৈত্রিক বসতবাড়ি জাল দলিল সৃজন করে এবং তা দখল নিতে প্রচেষ্টা চালায়। লোকমান এতে বাধা প্রদান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা তাঁর উপর এ হামলার ঘটনা ঘটায়। লোকমান জানান, তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্য দিদার ঈসমাঈল গং তাঁর উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। তিনি জানান, ঘটনার সময় তাঁর আত্মচিৎকারে স্থানীয় গ্রামবাসি এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। বর্তমানে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে চরম আতংকের মধ্যে রয়েছেন জানিয়ে বলেন, হামলার ঘটনায় আদালতে মামলার করার পর তারা আরো বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। এখনো তাঁকে নানাভাবে হুমকি ধমকি অব্যাহত রেখেছে। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন। স্থানীয়রা জানান, লোকমান মেম্বারের উপর হামলার পর এলাকায় চরম চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘাতের আশংকা করছেন স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে মামলার বিবাদী ইসমাইল বলেন, জায়গার বিরোধকে কেন্দ্র করে লোকমান মেম্বার কৌশলে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আদালতে মিত্যা মামলা করেছে।