ফটিকছড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে(পাগলী) এক নারী গনধর্ষনের শিকার হয়েছে। গত এক সপ্তাহ আগে ঘটনাটি ঘটলেও এ ব্যাপারে এখনো কোন ধরনের আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করেনি পুলিশ। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার শুরু হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গার্ডের দোকান বাজারের নৈশ প্রহরী নুরুজ্জামান জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন এ নারী দীর্ঘদিন ধরে বাগান বাজার ইউনিয়নের গার্ডের দোকান এলাকায় অবস্থান করে আসছিল। রাতে রাস্তার পাশে যাত্রী ছাউনিতে ঘুমাতেন এ নারী। তিনি জানান, সেদিন রাত ৩টার দিকে স্থানীয় চার দূর্বৃত্ত মিলে মানসিক ভবঘুরে এ নারীকে পাশের চা বাগানের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। এসময় নারীটির চিৎকার শুনে সেদিকে এগিয়ে গিয়ে দেখি চারজন মিলে তাকে চা বাগানের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তখন মৌখিক বাঁধা দিলে তারা আমাকে গালাগালি করে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। চারজন মিলে মহিলাকে পালাক্রমে গণধর্ষন করে তাকে সেখানে রেখে চলে যায়। পরদিন বিষয়টি জানা জানি হলে ধর্ষনের শিকার ওই নারীকে সেখান থেকে লুকিয়ে রাখে।
স্থানীয় একটি সুত্র জানায়, ঘটনার পর ধর্ষিতা এ নারীকে পাশের গ্রামের একটি বাড়ীতে রেখে অতিরিক্ত রক্তক্ষরন বন্ধের চেষ্টা করা হয়। এদিকে গত ২৬ অক্টোবর সকাল থেকে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে বাগান বাজার চেয়ারম্যান সাজু এক ধর্ষনকারীকে ইউনিয়ন পরিষদে এনে মারধর করে ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সাথে জড়িতরা সবাই বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সাজুর অনুসারী বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সাজু মুঠোফোনে বলেন,'বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি।'
দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নাজের হোসাইন বলেন, এ ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
এ বিষয়ে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোয়েব আহমেদ খান বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জেনেছি এবং ভূজপুর থানা ওসিকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়া হয়েছে।'