২০১৩ সাল থেকে ব্লগার, লেখক-প্রকাশক, বিদেশি নাগরিক ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বা মতাবলম্বীদের ওপর ‘টার্গেটেড কিলিং’ চলার মধ্যে ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট গঠন করা হয়। ওই বছরেই অর্থাৎ ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানে পাঁচজনের একটি অস্ত্রধারী দল হলি আর্টিজান বেকারিতে প্রবেশ করে জিম্মি করে সেখানে থাকা দেশি-বিদেশি নাগরিকদের।
রাতভর তারা মোট ২০ জনকে হত্যা করে, যাদের মধ্যে ১৭ জন ছিল বিদেশি। ওই সময় সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে গিয়ে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা জীবন উৎসর্গ করেন। হলি আর্টিজানের ঘটনায় সর্বমোট ২১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে ১৩ জন আসামি বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত হন।
দেশের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ওই হামলার ছয় বছরের দ্বারপ্রান্তে এসে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সিটিটিসিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কল্যাণে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ মুহূর্তে বড় ধরনের কোনো জঙ্গি হামলার হুমকি ও আশঙ্কা আমরা দেখছি না। ওই ধরনের সক্ষমতাও জঙ্গি সংগঠনগুলোর নেই। হলি আর্টিজান হামলার পর সব জঙ্গির সক্ষমতা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।