চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিএনপির দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার ৩১ জুলাই রাতে মধ্যম শাকপুরার জালাল চেয়্যারম্যান বাড়ির মৃত নুরুল আলমের ছেলে এসএম জাহাঙ্গির বাদী হয়ে ১২জন বিএনপির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ বোয়ালখালী থানায় এ মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলায় আরো ১৪০-১৬০জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়েছে।
দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম জেলা মহা নগরে সমাবেশ শেষে শাকপুরা ইউনিয়নের বোয়ালখালী-পটিয়া আঞ্চলিক সড়ক(পুরাতন আরকান সড়ক)এর মধ্যম শাকপুরা শহীদ সুবল সড়কের পাকা রাস্তার উপর বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে বাদীকে আ’লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে মারধর করে কয়েকটি অটো রিকসার কাঁচ ভাংচুর করে। তারা আওয়ামীলীগ সরকারের উদ্দেশ্যে কুরুচিপূর্ণ নানা রকম মন্তব্য করতে থাকে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা প্রত্যাহার এবং শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানোর উদ্দেশ্যে আসামীরা শক্তিমত্বার জানান দিয়ে সম্পদ ও প্রাণের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে ককটেল ও পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে।
এ সময় লোকজন আসতে দেখে কয়েকজন কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং রাস্তায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। বিকট শব্দে আগুনের ঝলকানি দেখতে পায়। খবর পেয়ে বোয়ালখালী থানার উপ-পরিদর্শক নুরে আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে টিনের র্জদ্দার কোটৌ,বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ,কাগজের তৈরী পাইপার,মার্বেল,বিস্ফোরিত পেট্রোল বোমার অংশসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করেন বলে মামলায় উল্লেখ হয়েছে।
এ বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হামদিুল হক মান্নান বলেন, তাদের দলের নেতাকর্মীরা এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটায়নি। মিথ্যা গায়েবী মামলা দিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন থেকে সরাতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রাণী করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে বোয়ালখালী থানার উপ-পরিদর্শক নুরে আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে বোয়ালখালী থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আছহাব উদ্দিন এ নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি।