চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলায় বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) মধ্যরাত পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে ভূমিধস ও বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ‘ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার মধ্যে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা ও ফেনী জেলায় ২০০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’
‘আজ সারারাত চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ফলে সাঙ্গু নদীতে ভয়াবহ পাহাড়ি ঢল নামার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ভারী বৃষ্টিতে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত উত্তর চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ভূমিধসের প্রবল ঝুঁকি রয়েছে।’
এদিকে সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের তথ্যানুসারে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি জেলার বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতির রয়েছে। বাড়তে পারে ফেনী, হালদা, কর্নফুলী ও সাঙ্গু নদীর পানি।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী সব নদ-নদীর পানি বন্যা বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (আজ সকাল ৯ টার সময় পাওয়া তথ্য অনুসারে)। যেহেতু আজ সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে ও আজ সারারাত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সব নদ-নদীর পানি বন্যা বিপৎসীমার উপর দিয়ে অতিক্রমের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
এদিকে স্থানীয়ভাবে পাওয়া খবরে জানা যায়, অতিবৃষ্টিতে এরই মধ্যে উত্তর চট্টগ্রামের হালদা, কর্ণফুলীর চেঙ্গী ও বান্দরবানের সাঙ্গু অববাহিকায় পানি বৃষ্টি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে।