একদিকে রোজা, অন্যদিকে তীব্র গরম। তারপর বর্ষবরণের আয়োজনের কমতি ছিল না চট্টগ্রামে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে পুরো আয়োজন।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) নগরের ডিসি হিলে সকাল সাড়ে ৬টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় নববর্ষের আয়োজন। এরপর একক এবং সম্মিলিতভাবে পরিবেশনায় চলে নাচ-গান। 'সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ' নামে একটি সংগঠন এখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
দিনটিতে নগরের সিআরবির শিরিষ তলার ভায়োলিনিস্ট চিটাগাং নামে একটি সংগঠনের দলীয় বেহালার সুরে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর সেখানে চলে নাচ-গান ও আবৃত্তি।
শিরিষ তলার অনুষ্ঠানে পরিবার নিয়ে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী এহেসানুল হক। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রত্যেক বছর বাচ্চাদের নিয়ে এখানে আসি এবং অনুষ্ঠান দেখি। নতুন বছরে জগতের সকল অশুভ দূর হোক এবং সবার মাঝে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
'মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা' স্লোগানে মঙ্গল শোভাযাত্রা করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রতিবছর বর্ণিল আয়োজন করলেও এ বছর অনেকটা 'সাদাকালো' শোভাযাত্রা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। কারণ মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবি নিয়ে আন্দোলনের মুখে বন্ধ রয়েছে ক্যাম্পাস। তাই তাদের শোভাযাত্রা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীরা নিজেদের অর্থায়নে 'জন্ম গন্ধ বুকে লইয়া নিঃশ্বাসে খুঁজি তোমার নাম' স্লোগানে একটি শোভাযাত্রা করেছে। শোভাযাত্রায় থাকা বিভিন্ন মুখোশ ও পুতুল তৈরি করা হয় সাদা আর কালো রঙ দিয়ে।