স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী। ১৮ জুন থেকে শুরু হওয়া এই মানবিক কার্যক্রমে দেশের আপামর জনসাধারণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছেন৷ তার গঠিত মানবিক তহবিলে প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি সংগ্রহ করেছেন তিনি।
এরমধ্যে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ইতিমধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত জনপদে তিনি ১০ হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণ নিয়ে গেছেন৷ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্যার স্রোতের মধ্যেই বন্যাদুর্গত মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তিনি এসব ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জের সদর, পৌর এলাকা, জগন্নাথপুর, মইনপুর, হালুয়ার ঘাট, ধোপাখালী স্লুইস গেইট, সুরমা, দারাইর গাঁও, হাল্লরগাঁও, খাইনতর, দোয়ারা বাজার এলাকায় এসব ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়। বর্তমানে আরও ৫ হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন প্রত্যন্ত জনপদে ছুটে গিয়েছেন তিনি৷ এরপর কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবেন বলে জানা গেছে। সেখানেও বন্যাদুর্গত ২ হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন ফারাজ করিম চৌধুরী।
তার এই বৃহৎ মানবিক কার্যক্রমের সবচেয়ে সাহসী পদক্ষেপ হলো, তিনি ১ কোটি টাকা খরচ করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের বন্যাবিধ্বস্ত তাহিরপুর উপজেলায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৫০টি ঘর ও কুড়িগ্রামে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫০টি ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ফারাজ করিম চৌধুরীর এই মানবিক কার্যক্রমে ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন।