চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অফিসে সেবা নিতে আসা শিশু ও নারীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা সেবাগ্রহীতারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। সকাল সোয়া ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের গেইট দিয়ে প্রবেশের সময় ফুল দিয়ে শিশু ও নারীদের বরণ করে নেন পরিচালক মো. আবু সাঈদ, সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত উল্লাহ ও সুপারিন্টেন্ডেন্ট জান্নাতুল মাওয়া।
সীতাকুণ্ড থেকে আসা সায়রা বেগম বলেন, বাড়ি থেকে পাসপোর্ট করতে এসে দেখলাম- বড় কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে বরণ করছেন। অফিসে ফাইল জমা দেওয়ার পর দ্রুত ছবি তুলতে পেরেছি। সুন্দর ব্যবহার ও দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ হয়ে গেছে। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিনে বিশেষ সেবার এই আয়োজন প্রতিদিন থাকা উচিত।
রাউজান থেকে আসা মিতা বড়ুয়া বলেন, আগেও পাসপোর্ট করতে অফিসে এসেছি, কিন্তু এখন সবকিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। গেইট দিয়ে প্রবেশের সময় ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন কর্মকর্তারা। দ্রুত সময়ে ফাইল গ্রহণ ও ছবি তোলার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখানে দ্রুত ছবি তোলা হয়েছে। আসার সময় বাচ্চাদের চকলেটও দিয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মো.আবু সাঈদ বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (৮ আগস্ট) বিশেষ সেবার ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ করে নারী ও শিশু সেবাপ্রার্থীদের জন্য অফিসে প্রবেশের সময় ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। নারী ও শিশুদের জন্য চারটি আলাদা কাউন্টার চালু করা হয়েছে। তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা দেওয়া হচ্ছে। কাজ শেষে চকলেট দিয়ে বিদায় দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন দেশের স্বাধীনতাসহ বঙ্গবন্ধুর সব লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যে প্রেরণাদানকারী ছিলেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অফুরান প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গৃহবন্দি থেকে এবং পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা সত্ত্বেও তিনি সীমাহীন ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সঙ্গে বঙ্গমাতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। বিশেষ করে নির্যাতিত মা-বোনদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং সামাজিকভাবে তাদের প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নেন।