ফটিকছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে ভবনটি। ভবনটির ছাদের ইট, সুরকি, পলেস্তারা খসে পড়ছে প্রতিনিয়ত। ১৯৬৭ সালের পূর্বে নির্মিত ৩ কক্ষ বিশিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে প্রতিদিন শত শত মানুষ আতঙ্ক নিয়েই সেবা নিতে যায়। ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরার কারণে ভবনের ছাদ যে কোন মূহুর্তে ধ্বসে পড়ে প্রাণহানীর মতো ভয়াবহ দূর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। দপ্তরের ভিতরে পানি পড়ার কারণে ভূমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ইতোমধ্যেই নষ্ট হতে শুরু করেছে বলে জানান তহসিলদার ইমাম উদ্দীন। এছাড়া ভবনটির সম্মুখে উপজেলা ভূমি অফিসের তিনতলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মিত হওয়ায় পুরাতন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কিছু অংশ মাঠির নিচে চলে গেছে। পশ্চিম পাশে ছিলোনিয়া ছড়া থাকার ফলে ভবনের ভিতরে পানি ডুকার সম্ভাবনাও দেখছে কর্মকর্তাদের অনেকে। এতসব আতঙ্কের মধ্যেই অফিস করছেন কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। আতঙ্কে থাকেন সেবা প্রত্যাশী সাধারণ মানুষও। সেবা নিতে আসা আব্দুল হালিম বলেন, এখানে অনেক সময় বিভিন্ন কাজে আসি। কিন্তু ভবনের যে বড় বড় ফাটল রয়েছে তা দেখলে ভয় লাগে। কখন যে মাথার উপর ভেঙে পড়ে। কাঞ্চন নগর থেকে আসা সেবা গ্রহীতা আলমগীর বলেন, কর্মকর্তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে সেবা দিয়ে থাকে। সরকারের উচিৎ জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মান করা। সরকার এখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করে এই দপ্তর থেকে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির রাহমান সানি জানান, ঝুঁকিপুর্ন এই ভবন ভেঙ্গে পর্যায়ক্রমে নতুন ভবন নির্মান করা হবে। দূর্ঘটনা রোধে ঝুঁকিপূর্ন এই ভবনটি ভেঙ্গে দ্রুত নতুন ভবন নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ফটিকছড়ি পৌরসভা, কাঞ্চননগর ও পাইন্দং ইউনিয়নের জনসাধারণ।