উৎসব মূখর পরিবেশে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে কোন রকম অপ্রিয়কর ঘটনা ছাড়াই ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের মেয়র পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন তৃতীয় বারের মত বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে হেট্টিক বিজয় অর্জন করেছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৫ ভোট। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী এএসএম জসীমউদ্দিন পেয়েছেন ৬ হাজার ৮ শত ৮৯ ভোট। এছাড়া অন্য স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী কামাল পাশা চৌধুরী পেয়েছেন ৩ শত ৭২ ভোট। এর আগে পৌরসভার ৩৬ হাজার ২ শত ৪৬ ভোটের মধ্যে নারী পুরুষ মিলে ১৯ হাজার ৩শত ৩৬ ভোট প্রদান করেন। এতে অবৈধ (বাতিলকৃত) ভোটের সংখ্যা ১ শত ৩৬। এছাড়া সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে পূর্বে সেলিমা আকতার বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় হেট্রিক কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে রোকেয়া বেগম ও ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে ফিরোজা বেগম মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। পুরুষ কাউন্সিলরের মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডে সাংবাদিক রফিকুল আলম, ২ নং ওয়ার্ডে রাকিব উদ্দীন, ৩নং ওয়ার্ডে হেলাল উদ্দীন ৪ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ চৌধুরী, ৫নং ওয়ার্ডে জহিরুল ইসলাম বাবর, ৬নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন, ৭নং ওয়ার্ডে মাওলানা মোহাম্মদ এহসান, ৮নং ওয়ার্ডে গোলাপ মাওলা গোলাপ, ৯নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ হাসেম নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ( ইভিএম) অনুষ্ঠিত ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচন সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে। কোথাও কোন ধরনের গোলযোগের সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে, ৮ নং ওয়ার্ডের ধুরুং পালপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোবাইল প্রতিকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মিনহাজুল ইসলাম জসিম অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর সমর্থকরা তাঁর এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। পাশাপাশি ইভিএম'র মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করায় ধীরগতির অভিযোগ এনেছেন ভোটারার। যার কারণে, ভোটারদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে। এদিকে, ২ নং ওয়ার্ডের রাঙ্গামাটিয়া ফকির মুহাম্মদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকালে ইভিএম'র সমস্যা দেখা দেয়ায় কিছুক্ষণ ভোট বন্ধ ছিল।