আজ মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ফটিকছড়ির বখতপুর ইউপি নির্বাচনে নৌকার পরাজয়

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২০ মার্চ ২০২৩ ০৯:০৯:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

স্থগিত হওয়া ফটিকছড়ির বখতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পরাজয় হয়েছে। ২ হাজার ৫৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক উল আজম। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এম সোলাইমান (বি.কম) পেয়েছেন ১ হাজার ৭ শ' ৮৪ ভোট। সোমবার (২০ মার্চ) বখতপুর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার অরুন উদয় ত্রিপুরা এ ফল ঘোষণা করেন। এদিকে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটাররা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের ২৮ টি ভোট কক্ষে ১১ হাজার ৩ শত ৮৯ জন ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করেন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৮ শ' ৫৯ জন আর নারী ভোটার ছিল ৫ হাজার ৫ শ' ৩০ জন। ভোট শুরুর দিকে ভোটারের উপস্থিতি সন্তুষজনক থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারশূন্য হয়ে পড়ে ভোটকেন্দ্রগুলোতে। তবে দুপুর গড়িয়ে গেলেও কোনো কেন্দ্রে নেই তেমন ভোটার উপস্থিতি। যে কারণে কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অলস সময় পার করছেন। কিন্তু ভোটাদের উপস্থিতি কম থাকলেও ভোটকেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ভিড় দেখা গেছে। সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ কেন্দ্রেই আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এম সোলাইমান (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক উল আজম (আনারস) প্রতিকের এজেন্ট থাকলেও সেই সঙ্গে নেই ভোটারদের কোনো লাইন, প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রই ছিল ভোটারশূন্য। মাঝে মাঝে এক-দুজন ভোটার এসে ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছে। আর নারী ভোটারের উপস্থিতি একেবারেই কম। এর মধ্যে যোগ হয় মুষলধারে বৃষ্টিপাত। যার ফলে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল বলে মনে করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। তবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রশাসনের কমতি ছিল না। উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, এ নির্বাচনে ৯ টি ওয়ার্ডে ৩জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটের পাশাপাশি ১জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রটের সাথে স্টাইকিং ফোর্স, ১প্লাটুন বিজিবি, ২প্লাটুন র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রেও পুলিশ ও আনসার মোতায়েন ছিল।