ফটিকছড়ি উপজেলা দাঁতমারায় মোবাইল চুরির অপবাদ দেয়ায় ওয়ার্ড যুবলীগ কর্মী রফিকুল ইসলাম অপমানে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। ১৫ আগষ্ট (সোমবার) সকাল ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরবরণ করে সে।
জানা গেছে, ব্যবসায়ীক বিরোধের জের ধরে হেয়াঁকো বেক বাজার এলাকার এক নকশা মিস্ত্রী রফিককে মোবাইল চুরির জন্য সন্দেহ করে। গত রবিবার সকালে কয়েকজন মিলে রফিককে যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান কমলের অফিসে নিয়ে চার ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেখে মারধর করে। রফিকের আত্মীয়রা নগদ ৫ হাজার টাকা মুক্তিপন দিয়ে তাকে উদ্ধার করে। রফিক নিজেও বেক বাজার এলাকায় ফার্নিচারের নকশার কাজ করে। এ ঘটনায় বিকালে রফিক নিজ বাড়ীতে গিয়ে অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে তার স্ত্রী বিবি কুলসুমা বেগমকে জানালে তারা স্হানীয় বালুটিলা বাজারের মানিক ডাক্তারের দোকানে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে অবস্হা গুরুতর হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সোমবার সকালে সে মৃত্যু বরণ করে।
এ ঘটনায় নিহত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ৬ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৩ জনকে বিবাদী করে ভূজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযুক্তরা হলেন, মোঃ ওসমান(৩০), হারুন(২৬), মুখলেস (৩৩), আবু তাহের(৫৫), রাজন( ৪২), আবুল কালাম(৩৫)।
নিহত রফিকের মামা শ্বশুর হাসেম সেক্রেটারি বলেন, আমরা ভাগনি জামাইরে ব্যবসায়ীক বিরোধের কারণে কৌশলে হত্যা করেছে। নেতা কমলের কিসের অফিস বুঝিনা। সেখানে সকাল ৯টা থেকে তাকে(রফিক) বন্দী রেখে মারধর করে। সেখান থেকে টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনতে হয়েছে। পরে অপমানে সে বিষপান করে মারা গেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান কমল বলেন, রফিক মোবাইল চুরি করে তার দোকানের নকশার কাজ করা ৫ /৬ টি কাটের নিছে লুকিয়ে রাখে। সেখান থেকে খোজাখুজির পর মোবাইলটি উদ্ধার করে। প্রথমে বেশ চুরির কথা অস্বীকার না করলেও পরে তা স্বীকার করে। এসময় ৪০/৫০ জন লোকের সামনে তার আত্মীয় স্বজনের কাছে তাকে তুলে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে মুক্তিপণ আদায়ের কথাটি ভিত্তিহীন।