ফটিকছড়িতে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের স্ত্রীর সম্পত্তি জবর দখল করতে গিয়ে কলাগাছের উপর নৃশংসতা চালিয়েছে স্থানীয় একটি ভুমিদস্যু সিন্ডিকেট। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও উপজেলার নারায়নহাট বাজারে স্কুল শিক্ষিকা শিরিন আক্তারের পৈত্রিক এ সম্পত্তি জবর দখলের পাঁয়তারা করছে স্থানীয় আবু মনসুর চৌধুরী গং। গত ৪ জানুয়ারী স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা ইদ্রিসের নেতৃত্বে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের স্ত্রীর সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করে তারা। উপজেলার নারায়নহাট ইউনিয়নের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডাক্তার আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী শিরিন আক্তার এমন অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় গত ৪ জানুয়ারী ভুজপুর থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন তিনি। এসময় নৃসংশতা চালিয়ে কলাবাগানের প্রায় অর্ধশত কলাগাছও কেটে নষ্ট করে দেয় ভুমিদস্যু আবু মনসুর চৌধুরী গং। পরবর্তীতে অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জবর দখল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা শিরিন আক্তার জানান, উপজেলার নারায়নহাট বাজারের পূর্ব পার্শ্বে তাদের পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত জমির বিরোধ নিয়ে তাঁর সৎ ভাই আবু মনসুর চৌধুরী গংদের সাথে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। বিরোধীয় সম্পত্তির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞাও বলবৎ আছে। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে তাঁর সৎ ভাই আবু মনসুর চৌধুরী গং স্থানীয় যুবলীগ নেতা ইদ্রিসের নেতৃত্বে উক্ত জমি জবর দখল করে নেয়। এসময় তারা সেখানকার প্রায় অর্ধশতাধিক কলাগাছ কেটে মাটিতে লুটিয়ে দেয়। তিনি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ নিয়ে বাধা দিতে গেলে তাঁর উপরও হামলার চেষ্টা করে জবর দখলকারীরা। এ ছাড়া তারা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। শিরিন আক্তার বলেন, তিনি ও তার অন্যান্য ভাইরা এলাকায় উপস্থিত না থাকার সুযোগে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ সিন্ডিকেট। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের স্ত্রী শিরিন আক্তার জানান থানায় অভিযোগ দেয়ার পর তাঁকে প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে উক্ত সিন্ডিকেট। বর্তমানে তাদের অব্যাহত হুমকির কারণে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা ইদ্রিস বলেন, পাওয়ার মূলে নিজের বায়নাকৃত জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছেন তিনি। কারো পৈত্রিক বা নিজের সম্পত্তি জবর দখল করেননি বলেও দাবী তাঁর। তবে শাহাদাত চৌধুরী নামের যে ব্যক্তি থেকে পাওয়ার অব এটর্নি নিয়েছেন যুবলীগ নেতা ইদ্রিস তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় উক্ত শাহাদাতের সেখানে কোন সম্পত্তি নেই। অপরদিকে অভিযুক্ত আবু মনসুর চৌধুরীর দাবী, নিজের পৈত্রিক জমিতে বেড়া দিয়েছেন তিনি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও জবর দখলে কেন এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি। এ ঘটনায় প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কালামের স্ত্রী শিরিন আক্তার।