মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফে দায়েরকৃত একটি মামলার প্রধান দুই আসামিকে বাদ দেওয়ায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করেনি আদালত।
মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারস্থ টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আখতার জাবেদ এ আদেশ দেন।
তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা দায়েরা ও জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ফরিদুল আলম।
তিনি জানান, ওই মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)কে অধিকতর তদন্ত করতে নির্দেশ প্রদান করেছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পরিচালকে নেতৃত্বে কক্সবাজারের টেকনাফে গত ২৪ সেপ্টেম্বর এক অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই অভিযানে ৭০০ গ্রাম হিরোইন, ৫৩ হাজার ইয়াবা, ৩ টি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল, একটি বিদেশী পিস্তল, ১৪১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, তিনটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও ৭ জন পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের টেকনাফ বিশেষ জোনের পরিদর্শক বিদ্যু বিহারী নাথ বাদী হয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বরে টেকনাফ থানায় ৭ জনকে আসামী করে ২টি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১ নং আসামি টেকনাফ সদর ইউপির গোদার বিলের আবু সৈয়দের ছেলে আবদুল্লাহ, ২নং আসামী একই ইউপির উত্তর লম্বরির হোছন আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল কাদের, ৩নং আসামী পশ্চিম গোদারবিলের ইমাম হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ সাজেদ প্রকাশ শাহেদ, ৪নং আসামী পশ্চিম গোদারবিলের ইমাম হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ সালেম প্রকাশ শাহ আলম, ৫নং আসামী দক্ষিন লেঙ্গুরবিলের হোসাইন আহমদের ছেলে মোহাম্মদ সাদেক প্রকাশ সাদ্দাম, ৬নং আসামী দক্ষিন লেঙ্গুর বিলের বশির আহমদের পুত্র আনোয়ার ও ৭নং আসামি গোদার বিলের কালা মিয়ার ছেলে মো. কাসিম।
এর মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে টেকনাফ থানায় জিআর মামলা নং-৬৯০, তাং- ২৫.০৯ ২০২৩ইং মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোনের উপ-পরিদর্শক তুন্তু মনি চাকমা। অস্ত্র আইনে দায়ের করা আরেকটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
এর মধ্যে মাদক আইনের মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোনের উপ-পরিদর্শক তুন্তু মনি চাকমা মামলার ১ নং আসামী আবদুল্লাহ ও ২ নং আসামি মোহাম্মদ আবদুল কাদেরকে বাদ দিয়েই দেড় মাসের মাথায় গত ১০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।