এক সময় বলা হতো কক্সবাজার স্বাস্থ্যকর স্থান। এখন স্বাস্থ্যকর স্থান বলা যাবে কিনা জানিনা! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারকে একটি জাতীয় সম্ভাবনাময় শিল্পে রূপ দিতে নিশ্চয়ই আন্তরিক। তিনলক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বেশিরভাগ প্রকল্প জনস্বার্থে এবং পর্যটন নির্ভর। যদিও বিমানবন্দরসহ দুই-একটি প্রকল্প প্রাথমিক সমীক্ষা বিহীন সমাপ্তির পর্যায়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্বাগত জানিয়ে আমার কিছু প্রত্যাশা ও দাবি # কক্সবাজার-চট্টগ্রাম আরাকান সড়ক চার লেন করে মহাসড়কে উন্নতি করণ # টেকসই ও মজবুত পর্যটন শিল্প বিকাশে কক্সবাজার থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত তার সাথে আলিঙ্গনরত পাহাড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ বন্ধ পাহাড় রক্ষা ও ভূমি ব্যবহারে যত্নবান হওয়ার নির্দেশনা প্রদান # কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ কে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজে উন্নত করতে অর্থ বরাদ্দ # কক্সবাজার পর্যটন এলাকায় পরিকল্পনার অভাবে বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গড়ে ওঠা সকল সরকারি অফিস একটি ভবনে স্থান্তর করা হোক। প্রকারান্তরে ঐ সকল সরকারী অফিস ভবন ক্ষেত্রবিশেষে শৈল্পিক নান্দনিক পর্যটন বান্ধব করে অভিজ্ঞ ছোট ছোট পর্যটন উদ্যোক্তাদের পর্যটনে বিনিয়োগ/ ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দেয়া # উখিয়ার জনসভায় নির্দেশনার আলোকে প্রতিষ্ঠিত কক্সবাজারের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো তেমন আলোর মুখ দেখেনি। আন্তর্জাতিক মানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবি # সুস্থতার জন্য দরকার মেডিকেল ট্যুরিজম। বিশ্বে মেডিকেল ট্যুরিজম খুবই জনপ্রিয়। সমুদ্রের সন্নিবেশে পাঁচ তারকা মানের হোটেল-মেডিকেল প্রতিষ্ঠা করা দরকার # বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে পর্যটন মন্ত্রণালয় আলাদা করা হোক। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, ভার্জিন দ্বীপ সোনাদিয়া ও কুতুবদিয়া দ্বীপকে ইকো-ট্যুরিজমের আওতায় এনে নির্বিঘ্নে পর্যটক যাতায়াতে সুবিধা বাড়াতে হবে # বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি পাহাড়ি এলাকা দিয়ে আঁকাবাঁকা হয়ে প্রবাহিত বাঁকখালী নদী কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরের মিলিত হয়েছে। ৯৫ মিটারের গড় প্রস্ত ৬৯ কিঃমিঃ নদীর উভয় পাশ প্রায় বেদখলে। নদী হারিয়েছে তার স্বাভাবিক রুপ, নাব্যতা। ফলে শুষ্ক মৌসুমে উজানের একটু জমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে। আবার বর্ষার মৌসুমে হঠাৎ বন্যা সৃষ্টি বৃদ্ধি পেয়েছে। অনতিবিলম্বে বাঁকখালী নদী দখলমুক্ত করা হোক। # নাফ নদীর অধিকাংশ অংশ আমাদের সম্পদ। এই নদী দিয়ে একদিকে বাণিজ্য চুক্তির পণ্য পরিবহন,দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নৌপথে পণ্য পরিবহন করা হয়। অন্যদিকে সেন্টমার্টিন নৌ পথে যাতায়াত ও টেকনাফ সাবরাং মৎস্য ব্যবসায়ীদের মৎস্য শিকার ও বঙ্গোপসাগরে নৌ পথে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম।নাফ নদীর নাব্যতা হারিয়েছে। মায়ানমার সরকারের ট্রেট ইত্যাদি কারণে নাফ-নদীতে চলাচলে সীমিত নিষেধাজ্ঞা বলবত রয়েছে। পর্যটন শিল্প, মৎস্য শিল্প, পণ্য পরিবহন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে নাফ নদীর ড্রেজিং ও কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। # রোহিঙ্গা সেবায় নিয়োজিত সকল এনজিও আইএনজিও অফিস রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছাকাছি স্থানে স্থানান্তরিত করতে হবে। পরিবেশ ও পর্যটন উভয় রক্ষা করে কক্সবাজার হোক বিশ্বের সবচাইতে প্রাণমুগ্ধকর পর্যটন নগরী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার আগমনে সুস্বাগতম। মফিজুর রহমান মফি পর্যটন উদ্যোক্তা সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টি জাতীয় পার্টি সদর-রামু আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত (২০১৪ ও ২০১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচন)।