মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এমডিজি) ২০১৫ অর্জনে সাফল্য এবং চলমান টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ২০৩০’র লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো অনেক উন্নয়ন এজেন্ডা। ইপসা ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ ঘোষিত যুব বর্ষে প্রতিষ্ঠা লাভ করে প্রায় ৩ যুগের অধিক কাল ধরে বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। ইপসা ২০১৭ সাল থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক (এফডিএমএন) বা রোহিঙ্গা মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ০৩ নভেম্বর, ২০২২ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ও যুগ্ম সচিব জনাব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মহোদয়ের সাথে ইপসা’র প্রধান নির্বাহী জনাব মোঃ আরিফুর রহমান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, কক্সবাজার কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা হয়। ইপসা’র প্রধান নির্বাহী মতবিনিময়কালে ইপসা কর্তৃক বাস্তবায়িত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক (এফডিএমএন) বা রোহিঙ্গা মানবিক সহায়তা চলমান কার্যক্রমসমূহ নিয়ে অবহিত করেন। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সরকারের নীতিমালা অনুসরণ ও সমন্বয় করে ইপসা কর্তৃক ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়িত রোহিঙ্গা মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ও হোস্ট কমিউনিটির চাহিদাভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রমসমূহের প্রশংসা করেন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার মাধ্যমে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি ইপসা’কে ধন্যবাদ জানান এবং এ কার্যক্রমসমূহের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণে পরামর্শ প্রদান করেন। মতবিনিময়কালে ইপসা’র হেড অব রোহিঙ্গা রেসপন্স প্রোগ্রাম ও সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।