আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পাহাড়ে চিরুনি অভিযান, পিছু হটেছে ‘কেএনএফ’

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৫৮:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

পাহাড়ে নতুন আবির্ভাব হয়েছে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। উগ্রবাদীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকায় এই সংগঠনের সদস্যদের ধরতে পাহাড়ে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। এ অবস্থায় পিছু হটেছে সশস্ত্র এই সংগঠনের সদস্য ও নেতারা।

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে নিজেদের পিছু হটার কথা জানিয়েছেন সংগঠনের এক নেতা। বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে দুর্গম পাহাড়ের অজ্ঞাত স্থান থেকে দুই মিনিট ৫১ সেকেন্ডের এ ভিডিও বার্তা ফেসবুকে দেওয়া হয়।

 

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও মিয়ানমার সীমান্তজুড়ে যখন যৌথবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী চিরুনি অভিযান চলছে ঠিক সেসময় ভিডিও বার্তাটি দিয়েছে কেএনএফ।

 

ভিডিওতে দেখা যায়, পেছনে দুজন সশস্ত্র সদস্যকে পাহারায় রেখে কালো মুখোশ পরে সংগঠনের নিজস্ব পোশাক পরিহিত অবস্থায় বক্তব্য দিচ্ছেন এক নেতা। তবে তিনি সংগঠনের কোন পদে রয়েছেন কিংবা তার নাম কি তা জানাননি।

ভিডিওতে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সঙ্গে উগ্রবাদীদের সম্পৃক্ততা নেই। তারপরও স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষয়ক্ষতির কথা চিন্তা করে যৌথবাহিনীর অভিযানের কারণে পিছু হটেছি আমরা। সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশে যৌথবাহিনীর অভিযানের কারণে আমাদের পিছু হটতে হয়েছে।’

 

সশস্ত্র সংগঠনের এই নেতা আরও বলেন, ‘মূলত সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস মূল) কৌশলগতভাবে কেএনএফের বিরুদ্ধে উগ্রবাদের অভিযোগ তুলে নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিযানে নামিয়েছে। অথচ পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে জনসংহতি সমিতি। তারা বাঙালিসহ বহু জাতি-গোষ্ঠীর মানুষকে হত্যা করে পাহাড়কে অশান্ত করে তুলেছে।’

 

শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় সন্তু লারমাকে দায়ী করে ভিডিও বার্তায় এই নেতা বলেন, ‘সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন সংগঠনের সদস্যরা

খুবই কম এবং ভাঙাচোরা অস্ত্র জমা দিয়েছে। তারাই সম্প্রতি সেনাবাহিনীর

ওপর সশস্ত্র হামলা করে সে দোষ কেএনএফের ওপর চাপিয়ে দেয়। মূলত হামলার পরই কেএনএফের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী।’