৭৫’র ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকারীরা শিশু ও নারীদের প্রতি সামান্যতম দয়ামায়া দেখায়নি। বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল সেদিন ঘাতকদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছিল।তবুও মন ঘামেনি সেই হায়নাদের। এতে প্রমানিত হয় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা পৃথিবীর সবচেয়ে নিষ্ঠুর ও বর্বরচিত ঘাতক। শহীদ শেখ রাসেল বাঙ্গালী জাতীর কাছে বেদনার এক মহাকাব্য। আমাদের কাছে শেখ রাসেল আবেগ, শুন্যতা ও ভালবাসায় জড়ানো একটি নাম। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সপরিবারে হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম একটি জঘন্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও জাতীয় শ্রমিক লীগ চান্দগাঁও থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান। তিনি বলেন, ঘাতকের নির্মম আঘাতে শুধু শেখ রাসেলই নয় দেশের কোটি কোটি শিশুর হৃদয়কে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে। সেদিন মানবিক, নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক সনদ, আইসিও শিশু সনদ, জাতিসংঘের শিশু সনদ ও ইসলামে শিশু অধিকার সব কিছুকেই কলঙ্কিত করা হয়েছিল। রাসেল সকল শিশু-কিশোরদের কাছে জাগরুক হয়ে থাকবে। তিনি আরো বলেন, রাসেলের রক্তের ঋণ পরিশোধের মধ্য দিয়ে আমাদের শিশুদের জন্য নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে। শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে গনমাধ্যমে তিনি একথা বলেন। মানবাধিকার কর্মী ও শ্রমিক নেতা মো. শাহজাহান বলেন, দেশের শিশু, কিশোর ও তরুণ প্রজন্মের কাছে শেখ রাসেল এক ভালবাসার নাম। শেখ রাসেল দেশের আনাচে-কানাচে এক মানবিক সত্তা হিসেবে সবার মাঝে বেঁচে আছেন। বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুবই ভালবাসতেন। তিনি জানতেন সুখি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে নতুন প্রজন্মকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শৈশব থেকেই তাদের মধ্যে চারিত্রিক গুণাবলির উম্মেষ ঘটাতে হবে। শিশুদের মাঝে দেশ প্রেম ও ন্যায়-নিষ্ঠাবোধ জাগ্রত করার মাধ্যমে তাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি শিশুদের মাঝে স্বাধিনতার সঠিক ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, রাসেল যদি বেঁচে থাকতো, তাহলে হয়তো একজন মহানুভব, দূরদর্শী ও আদর্শ নেতা আজ আমরা পেতাম, যাকে নিয়ে দেশ ও জাতি গর্ব করতো। যেভাবে আমরা সারা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে গর্ববোধ করি।