মিরসরাইয়ে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১৩ জন নিহতের ঘটনায় রেলক্রসিংয়ের দায়িত্বে থাকা গেইটম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মাইক্রোবাস চালক গোলাম মোস্তফাকে দায়ী করা হয়েছে। রেলওয়ের চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনছার আলীর নেতৃত্বে গঠিত ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার বিকেলে বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরীর কাছে পাঁচ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয়। মাইক্রোবাসচালক গোলাম মোস্তফা দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর গেটম্যান সাদ্দাম বর্তমানে কারাগারে আছেন। তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী জানান, তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার জন্য গেটম্যান ও গাড়িচালককে দায়ী করেছে। গেটম্যান সাদ্দাম দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার বিষয়টি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যেহেতু প্রতিবেদনে তাঁর গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে, সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব।
গত ২৯ জুলাই দুপুর দেড়টার দিকে মিরসরাইয়ের খৈইয়াছড়া ঝরনা দেখে ফেরার পথে ঝরনা এলাকায় অবস্থিত রেলক্রসিংয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন পর্যটকবাহী একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান ১১ জন। আহত হন সাতজন। এই সাতজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন অবস্থায়। অন্য আহত ব্যক্তিরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি করে রেলওয়ে। একটি তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরমান হোসেনকে। অপর কমিটির প্রধান রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী। আনসার আলীর নেতৃত্বাধীন কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলেও অপর কমিটি এখনও প্রতিবেদন জমা দেয়নি। ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলে ১৯ দিন পর প্রতিবেদন জমা দেন আনসার আলীর নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি।