আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

দুই বছর ধরে অকেজো আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন

মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:২৬:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে আছে প্রায় দুই বছর ধরে। এতে করে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা সেবা গ্রহীতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেক পুরাতন এই মেশিনটির বর্তমান বাজারে যন্ত্রাংশের অভাব রয়েছে। এছাড়া এই মেশিনটি ঠিক করাতে অনেক অর্থের প্রয়োজন পড়বে। যার যোগান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে হচ্ছে এখানকার জনসাধারণের। ফলে প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ এবং চিকিৎসা ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত হারে।

উল্লেখ্য, উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ জনসংখ্যার বিপরীতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেক সময় অনেক রোগীরা পেটব্যথা, কিডনী জটিলতা কিংবা বিভিন্ন রোগের জটিলতা নিয়ে আসেন সরকারি সেবা পেতে। পাশাপাশি গর্ভবতী নারীরা বিভিন্ন সময় নিজের এবং অনাগত বাচ্চার অবস্থা যাচাইয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার প্রয়োজন পড়ে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় জটিলতা নিয়ে রোগী আসলে পরীক্ষা করতে তাৎক্ষণিক আলট্রাসনোগ্রাফি করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু সেই জরুরী সময়ও তাদের ছুটতে হয় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এর ফলে কমপ্লেক্স সেবা দিতে চাইলেও মেশিনের অভাবে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা রোগীরা। 

 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রশ্মি চাকমা বলেন, আমাদের আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি প্রায় দুই বছর ধরে নষ্ট। আমরা বেশ কয়েকবার কতৃপক্ষকে জানিয়েছি কিন্তু পুরাতন মডেলের মেশিন হওয়ায় যন্ত্রাংশের অভাবে মেরামত করা সম্ভব হয়নি। আর এটা মেরামত করলেও ভাল রিপোর্ট আসবেনা। নতুন মেশিনের জন্য উপজেলা হেলথ কেয়ার এর লাইন ডিরেক্টর স্যারের  হাতে হাতে চিঠিও দিয়েছি। আল্টাসনোগ্রাম মেশিনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন,এখানে যেহেতু গর্ভবতী নারীদের প্রসবকালীন বিভিন্ন জটিলতা পরীক্ষা এবং সাধারণ রোগীদের অনেক সময় এই পরীক্ষার প্রয়োজন হয় তাই মেশিনটি অতি জরুরী। তিনি এবিষয়ে আবারো কর্তৃপক্ষকে লেখার কথা জানান।আমি আমার তরফ থেকে গুরুত্ব সহকারে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 

এদিকে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ-সাত জন রোগীরা বিভিন্ন কারণে দেশে ফিরে যাচ্ছেন অন্যত্র। অচিরেই মেশিনটি মেরামত করে কিংবা নতুন মেশিন সংযোজন করে উপজেলাবাসীবাসী স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবে কতৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।