নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন দেওয়ান হাট বাজারের হাসিল আদায়কারীকে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় পায়ে ছুরি মেরে গুরুতর আহত করেছেন সন্ত্রাসীরা। আহত মোঃ মোক্তার হোসেন (৩৬) মৃত মোঃ হোসেনের ছেলে। তিনি দেওয়ান হাট ২নং রেল গেইট এর পাশে ইউনুস মাঝির বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দেওয়ান হাট ২নং রেল গেইটের পাশে এই ঘটনাটি সংগঠিত হয়। অভিযুক্তরা হলেন, মোঃ জাকির এর ছেলে পারভেজ, কেরামত আলীর ছেলে লিটন, শাহ আলমের ছেলে জয়। তারা সকলেই ডবলমুরিং থানাধীন দেওয়ান হাট ২নং রেল গেইট এলাকার বাসিন্দা। জানাযায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেওয়ান হাট বাজারের হাসিল আদায়কারী মোঃ মোক্তার হোসেন ও তার বন্ধু ফয়সাল দেওয়ান হাট ২নং রেল গেইটের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আড়াই লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ার কারণে পারভেজ, লিটন ও জয় একটি মটরসাইকেল চালিয়ে পিছন দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে আহত করেন। তারা তিনজন মটরসাইকেল থেকে নেমে লিটন ও জয় মোক্তারের দুই হাতসহ চেপে ধরেন এবং পারভেজ কোমর থেকে ছুরি বের করে মোক্তারের ডান পায়ে ছুরি দিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করান। এই বিষয়ে আহত মোক্তার হোসেন দৈনিক সাঙ্গুকে বলেন, আমি দেওয়ান হাট বাজারে হাসিল আদায় করার কারনে গত এক সপ্তাহ আগে লিটন আমার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। সেই চাঁদার টাকা আমি না দেওয়াতে দুপুর সাড়ে ১২টার সময় আমি এবং আমার বন্ধু মোঃ ফয়সাল দেওয়ান হাট ২নং রেল গেইটের পাশে হেঁটে যাওয়ার সময় পারভেজ, লিটন ও জয় একটি মটরসাইকেল চালিয়ে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে আমাকে আহত করেন। তারা তিনজন মটরসাইকেল থেকে নেমে লিটন ও জয় আমার দুই হাতসহ আমাকে চেপে ধরেন। পারভেজ তার কোমর থেকে ছুরি বের করে আমার ডান পায়ে ছুরি দিয়ে গুরুতর আহত করেন। বতর্মানে আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৪নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছি। আমি ৯৯৯ ও থানায় জানিয়েছি। এই বিষয়ে জানতে ডবলমুরিং থানার ওসির মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এই বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ডবলমুরিং থানার এসি দৈনিক সাঙ্গুকে বলেন, এটা চাঁদাবাজির ঘটনা না, নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি - মারামারি। ওসি কে আমি বলেছি ঘটনা দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।